এতদিন ছিল খিদের জ্বালা, লকডাউনে কাজ না থাকায় খাদ্যের অভাব এবার তার সঙ্গে যোগ দিয়ে বাসস্থানের অভাব। আমফান মাথার ছাদটুকু কেড়ে নিয়েছে অনেক মানুষের। জলে থইথই বিমানবন্দর, উড়ে গেছে ছাউনি, কলকাতার বইপাড়ায় অক্ষর বর্ন ভাসছে জলে, পড়ে রয়েছে কঙ্কালসার মাটির ঘর, আমফানের পর এমন চিত্রই ধরা পড়েছে। আমফানের ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা বাংলা।
India meteolorogical Department এর তরফ থেকে এবার আরেকটি নতুন খবর দেওয়া হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় আমফানের পরেই তীব্র থেকে তীব্রতর দাবদাহ পুড়তে পারে ভারতের একাধিক এলাকা। এই তীব্র তাপদাহ দেখা যেতে পারে উত্তর-পশ্চিম মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের বিপুল পরিমাণে এলাকায়। আর এর পূর্বাভাস এর আগাম ফলাফল শনিবার থেকে মিলতে শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময়ে শনিবার প্রায় সারা দেশেই তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে 3-4 ডিগ্রী বেশি। এমনকি দেশের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার তাপমাত্রা 42 থেকে 43 ডিগ্রি পর্যন্ত পৌছে গেছিল। যেমন দিল্লিতেই মৌসুমের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন ছিল। মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় তাপমাত্রা ছিল 44 ডিগ্রি বেশি।
সুপার সাইক্লোন আমফানের পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া এরকম পরিবর্তনের কারণ উত্তর-পশ্চিমে শুকনো গরম হাওয়া উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের বিশাল অংশে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় উত্তাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে সমতলে গড় তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে, উপকূল ও পার্বত্য এলাকায় যথাক্রমে 37 ও 30 ডিগ্রী সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম এ সকল জেলায় আগামী কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌছতে পারে 38 ডিগ্রিতে।