মায়ের তৈরি গাউন পরেই ঐশ্বর্যকে পিছনে ফেলে ‘মিস ইন্ডিয়া’ মঞ্চে বিজয়ী হন সুস্মিতা সেন
চেষ্টা এবং মনের জোর থাকলে মানুষ কোথায় না পৌঁছাতে পারে। সুস্মিতা সেন তেমনই একজন মানুষ যিনি শূন্য থেকে উঠে আজ মধ্যগগনে বিরাজ করছেন তবে তার পথ টা এতটাও প্রশস্ত ছিল না। প্রত্যেক পদক্ষেপে সংগ্রাম করতে হয়েছিল এই বঙ্গ সুন্দরী কে।
সুস্মিতা নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন তার স্টাগেলের কথা। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া হন সুস্মিতা সেন তবে রেম্প এ হাটার জন্য লাগবে দামি পোশাক, মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুস্মিতার পক্ষে সম্ভব ছিল না তা সহজে জোগাড় করা। তবে মনের মধ্যে জোর এবং চোখে স্বপ্ন ছিল প্রচুর, সেই কারণে বাঁধা আসলেও তা অতিক্রম করার ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন সুস্মিতা।
ইতিমধ্যে প্রথম তিনটে রাউন্ড হয়ে গিয়েছে শেষ একটি রাউন্ড বাকি, আর সেখানেই পড়তে বলা হয়েছে গ্রাউন, তবে একটি দামি গ্রাউন্ড কিনতে বেশ অনেকটা পয়সার বিষয়। তাই লোকাল মার্কেট থেকে কাপড়ের পিস কিনে এনে নিজের বাড়ির নিচের গ্যারেজের এক দর্জিকে দিয়ে সুস্মিতার মা বানিয়েছিলেন তার উইনিং গাউন। তারপর সুস্মিতার মা নিজের হাতে সেই গ্রাউনে কাপড় দিয়ে বানিয়ে ছিলেন গোলাপ ফুল। মোজা কেটে করা হয়েছিল হাতের গ্লাভস। সুস্মিতার মা তাকে সেই দিন বলেছিলেন পোশাক দিয়ে কিছু হবে না, মানুষ তোমাকে দেখবে পোশাকে নয়, সত্যিই মানুষ সেইদিন শুধুমাত্র দেখেছিল সুস্মিতাকে, একজন প্রকৃত নারীকে।
রূপকথার গল্পের ন্যায় হলেও, ঐদিনের সেই দর্জির বানানো গ্রাউন পরেই মিস ইন্ডিয়ার ক্রাউন মাথায় উঠেছিল এই বঙ্গ তনয়ার।