বিনোদন

মাথায় নেই চুল, লড়াইয়ের কঠিন মুহূর্ত তুলে ধরলেন সাহসী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা

Advertisement
Advertisement

সময় ভালো খারাপ যেরকমই হোক ভালবাসার মানুষের হাত শক্তভাবে ধরে তার পাশে থাকার নামই ভালোবাসা। আর তা প্রমাণ করে দেখালেন পর্দার বামাক্ষ্যাপা ওরফে সব্যসাচী চক্রবর্তী।

তার বান্ধবীও টেলিভিশনের একজন পরিচিত মুখ ঐন্দ্রিলা শর্মা, কালারর্স বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ সিরিয়ালে জাহ্নবী হিসাবে পরিচিত তিনি। আর সেই ঐন্দ্রিলা এখন জীবনের সবথেকে কঠিন লড়াইটা লড়ছে। দ্বিতীয়বার মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী, এর আগেও ক্লাস ইলেভেনে পড়াকালীন ঐন্দ্রিলা শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যান্সার। ১৬ টি রেডিয়েশন এবং ৩৩ টি কেমো নিয়ে সেই যাত্রায় যুদ্ধে জয় লাভ করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে ৫ বছর পর আবার তার শরীরে ফিরে এসেছে তার পুরনো রোগ।

কিছুদিন আগে অভিনেত্রী লাইভে এসে জানান তার এই অসুস্থতার কথা, দিল্লির একটি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। সেই সময় লাইভে এসে নিজের অসুস্থতার কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ঐন্দ্রিলা, তবে দমে যাওয়ার মেয়ে ঐন্দ্রিলা নন, তাই নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে আবার মারণ রোগের সাথে লড়াই শুরু করেছেন জোরকদমে। ইতিমধ্যে একটি কেমো নিয়ে ফিরেছেন সিরিয়ালের সেটে।

আজ নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে ঐন্দ্রিলা নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা গিয়েছে চিকিৎসার কারণে তার সমস্ত চুল কেটে ফেলতে হয়েছে, তবে তার মুখে লেগে আছে আগের মতোই মিষ্টি হাসি। ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, “চুলেই নারীর সৌন্দর্য, আর নয়”।

এরপর সব্যসাচী কেও দেখা যায় নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ঐন্দ্রিলার সাথে ছবি ছাড়তে, যেখানে ৫ মাস আগে পরের দুটি ছবি কোলাজ করা, একটি ছবিতে ঐন্দ্রিলার মাথায় এক রাশ চুল ঘাড় বেয়ে নেমে এসেছে, অন্যটিতে সাম্প্রতিককালের মাথা ন্যাড়া করার পরের ছবি। ছবিটি পোস্ট করে সব্যসাচী লেখেন, ‘৫ মাসে কত কিছু বদলে যেতে পারে? খারাপ চুলের দিন আর নয়।

অন্যদিকে অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর শুনে মন খারাপ ঐন্দ্রিলা সকল অনুরাগীদের। তবে ঐন্দ্রিলার লড়াকু মনোভাব দেখে সত্যি প্রত্যেকের অনেক কিছু শিখতে পারবে নিজের জীবনে, কারণ তাকে যে ভালো থাকতেই হবে, আর যেখানে এমন ভালোবাসার মানুষরা তার পাশে রয়েছে সেখানে তো তাকে সুস্থ হতেই হবে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles