সারেগামাপার মঞ্চে থেকে তিনি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন পাশাপাশি বাংলা গানে নতুন দিগন্ত এনে দিয়েছিলেন। কির্তনের মাধ্যমে সুরেলা কন্ঠে আপামর বাঙালির মনে জায়গা করে নেন সকলের প্রিয় অদিতি মুন্সী। ঠিক যেমন মিষ্টি কন্ঠসুর তেমনি মিষ্টি দেখতে অদিতি, ঠিক যেন লক্ষী প্রতিমা।
এবার সেই অদিতিকেই দেখা গেলে ঠিক বাড়ির লক্ষীর বেশে লক্ষী প্রতিমার আরাধনা করতে। করোনার আবহে দুর্গাপুজোও আড়ম্বরহীন ভাবে পালন হয়েছে লক্ষ্মী পুজোর ক্ষেত্রেও একই। কিন্তু তাতে কি ঘরের লক্ষী যদি মায়ের আরাধনা করে তবে আরম্ভড়হীনতার মধ্যেও জৌলুসতা দেখা যায়। তাই এবার ঘরোয়াভাবেই ধন দেবীর আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন অদিতি মুন্সী।
অদিতি মুন্সির জানিয়েছেন, প্রত্যেকবার মা লক্ষ্মীকে সাজানোর দায়িত্ব তার উপরে থাকে। আগেরবার প্রতিমাকে লাল শাড়ি পরানো হয়েছিল তাই এবার একটু ভিন্ন ভাবে মা লক্ষ্মীকে সাজানোর জন্য তার নিজের পছন্দের রঙের একটা বেনারসী কিনে এনেছেন।
অদিতি মুন্সি জাগিয়েছিলেন বিয়ের পর থেকেই লক্ষ্মী পূজার ভোগ রান্নার দায়িত্ব সে পেয়ে এসেছেন। তাই প্রতিবারের মত এবারেও ভোগ রান্নার অনেকটাই সে করেছে। পুজোর জন্য চালের ভোগ তৈরি ও তাছাড়াও অনেক রান্না নিজে হাতে করেছেন। প্রত্যেক বারের মতো এবারে লোকজন নিয়ে বড়ো করে পুজো না হলেও ছোট করেই ভক্তিভরে দেবীর অর্চনা করেছেন তিনি।