ওড়িশায় ভুশন্ডেশ্বর শিবলিঙ্গ রয়েছে যা উত্থান মাটি থেকেই, যার অর্ধেক অংশ দেখা যায় আর বাকি অংশ মাটির ভিতরে, আবার মুর্শিদাবাদের বিষ্ণুপুর কালিবাড়ির কালির উত্থান মাটি থেকেই। সেই আদিকাল থেকেই বারবার প্রচুর দেবতার খোঁজ মিলেছে মাটির বুকে।
সম্প্রতি এইরকমই মাটির গর্ভ থেকেই খোঁজ মিললো শিবলিঙ্গের। বাকুড়ার পাত্রসায়রে জামকুড়ি পশ্চিম বাগদী পাড়ার একটি মুক্ত মঞ্চ তৈরির জন্য 100 দিনের কাজের প্রকল্পে মাটি খোঁড়া চলছিল। আর ঠিক সেই সময়ই একটি খেজুর গাছের পাশে এই শিবলিঙ্গের খোঁজ মেলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর এই শিবলিঙ্গটি প্রায় তিন ফুট উচ্চতা 1 ফুট চওড়া বিশিষ্ট। আর এই শিবলিঙ্গ পাওয়ার পর থেকেই এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিবলিঙ্গ কে কেন্দ্র করে চলছে পূজার্চনা। বহু প্রাচীন যুগ থেকেই শিবলিঙ্গের পুজো ব্যাপকভাবে প্রচলিত। তাই মাটির তলা থেকে শিবলিঙ্গ পেতেই হুলুস্থুলু পড়ে যায়। প্রথমে মাটি খুঁড়তেই একটি কালো রঙের কিছু চোখে পড়ে। আরো খোড়াখোড়ি করতেই ঠাউর হয় যে এটি একটি শিবলিঙ্গ। তারপর মাটি থেকে তুলে ওই গাছের তলায় রেখে শুরু হয় পূজার্চনা।
এক গ্রামবাসী সুজন বাগদি অনুমান করেছেন এটি প্রায় হাজার বছরের পুরোনো। খুব শীঘ্রই শিবলিঙ্গটিকে তারা প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করছেন। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের মহকুমারশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন তারা ব্লক প্রশাসনের কাছে এই শিবলিঙ্গ উদ্ধারের খবর পেয়েছেন। এরপর রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ এর কর্মী আধিকারিকরা ওই গ্রামে গিয়ে পুরো বিষয়টি যাচাই করবেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।