পরিশ্রম ধৈর্য্য যে মূল কথা তারা বারবার প্রমাণ করে দেন রিয়েলিটি শোতে আসা কিছু ব্যক্তিরা। একবার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলে বা হেরে গেলে যেখানে নিজেদের জীবন আমরা বৃথা মনে করি সেখানে কিছু মানুষ ক্রমাগত লড়াই করে যান, তবে আসে সাফল্য যা আমাদের শিক্ষা দেয়।
সংসারের অপমান, স্বামীর কাছে কটুক্তি ইচ্ছা ছিল মানুষের জন্য কিছু কাজ করার কিন্তু স্বামীর কাছে কেবল জুটেছে অবহেলা। কলকাতার মেয়ে রুনা সাহার শেষ ভরসা ছিল কৌন বানেগা ক্রোড়পতি।
কিন্তু এই পথটাও সহজ ছিল না। বহুদিন ধরে কেবিসিতে যাওয়ার চেষ্টা করেও হয়নি, বারবার বিফল হন। এরপর শোতে পৌঁছে গেলেও খেলতে হয় ফাস্টেস্ট ফিঙ্গার ফাস্ট। হট সিটে বসার জন্য তিনি ছিলেন শেষ প্রতিযোগিতা কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে না পেরে কাঁদতে শুরু করেন। তাকে এভাবে ভেঙ্গে পড়তে দেখে অমিতাভ বচ্চন নিজে তাকে হটসিটে ডেকে নেন।
অমিতাভ নিজে তাকে ডেকে বলেন কাঁদার সময় নয় এটা, এটাই সুযোগ। ভগবান হয়ে অমিতাভ যেন তার কান্না শুনলেন। এরপরই নিজের বুদ্ধির জোরে ২৫ লাখ টাকা পেয়ে যান ৪৩ বছরের রুনা সাহা। এবার তার স্বপ্ন পূরণের পালা অপমানের জবাব দেওয়ার পালা। রুনার স্বপ্ন তার শাড়ীর ব্যবসা বড় করার ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
কৌন বানেগা ক্রোড়পতি কেবল এক টাকা জেতার খেলা নয় দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত স্থান থেকে উঠে আসা মানুষদের পরিশ্রম, লড়াই এর কথাও। নিজের দক্ষতা বুদ্ধির জোরে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা।