গরীবের পেট ভরাতে মাত্র এক টাকায় ইডলি দেন আম্মা, বৃদ্ধাকে ঝাঁ চকচকে উপহারে ভরিয়ে দিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা

সুদূর চেন্নাইয়ের ভারীভেলামপালায়ালাম গ্রামে আশীতিপর বৃদ্ধা সকলে তাকে ইডলি আম্মা বলেই চেনেন। সকাল থেকেই হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খেটে দোকানে তৈরি করে চলেন ছোট ছোট নরম তুলতুলে ইডলি, সঙ্গে সাথে চাটনি এবং সাম্বার। ছোট ছোট স্টিলের প্লেটে সেই ইডলি নিজের হাতে পরিবেশন করেন বৃদ্ধা। যে যটা খুশি খেয়ে নিজের পেট ভরিয়ে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
তবে ইডলি আম্মা দোকানের একটি বিশেষত্ব আছে, সেটি হলো বৃদ্ধা যেদিন থেকে দোকান খুলেছে সেদিন থেকে একই দামে বিক্রি করছেন ইডলি। এক পিস ইডলির দাম ১ টাকা। দিনে দিনে সব কিছুর দামই বেড়ে চলেছে, তবে ইডলি আম্মা বাড়াননি তার ইডলি দাম।
কারণ জিজ্ঞাসা করলে বৃদ্ধা বলেন, আমি এই দোকানটা গরীব খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বানিয়েছিলাম তাই কষ্ট হলেও কোনো মতেই দাম বাড়ানো না খাবারের। এই ইডলি আম্মা গত বছর লকডাউনে ইডলি দিয়ে ভরিয়েছিলেন বহু অভুক্ত মানুষের পেট, সেই সময় ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। এমনকি ইডলি আম্মা সেই ভিডিও পৌঁছে গেছিলো বিখ্যাত শিল্পপতি মহিন্দ্রা কোম্পানির কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রার কাছে।
ভিডিওটি দেখে আনন্দ মাহিন্দ্রা প্রতিশ্রুতি দেন বৃদ্ধাকে এলপিজি সিলিন্ডার উপহার দেওয়ার। যাতে গরমে উনুনের তাপে তাকে ইডলি বানাতে না হয়। আর সেই কথা মতন শিল্পপতি পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডলি আম্মার দোকানে। এলপিজি কানেকশন করিয়ে দেন বৃদ্ধার। আর সেই সময়ে আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছে বৃদ্ধা জানান, তিনি যেই ঘরে থাকেন তা বসবাসের যোগ্য নয়, তাই যদি একটা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, আর সেই কথাও রাখলেন আনন্দ মহিন্দ্রা। ইডলি আম্মা জন্য ঝা চকচকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি।