দেশনিউজ

মোদীর হাতে চালু হচ্ছে কল্পনার বাস্তব যাত্রা

Advertisement
Advertisement

বাস্তবের রূপ পেতে চলেছে কল্পবিজ্ঞান। এতদিন ধরে যা ভাবা হতো অলীক কল্পনা, তাই হতে চলেছে আগামীর ভবিষ্যৎ। কথা হচ্ছে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন নিয়ে। দিল্লী মেট্রোরেল কর্পোরেশন ২৮ ডিসেম্বর থেকে কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন চালাবে। ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়া থেকে শুরু করে ট্রেন চালানো পর্যন্ত কোনও কাজের জন্যই ইঞ্জিন কেবিনে চালকের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে না। ডিএমআরসি এতদিন জনকপুরী পশ্চিম থেকে বোটানিকাল গার্ডেন ও মজলিস পার্ক থেকে শিব বিহার লাইনে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন চালালেও ইঞ্জিন কেবিনে একজন করে চালক উপস্থিত থাকতেন। ডিএমআরসির কাছে এই দুটি লাইন ম্যাজেন্টা ও গ্রীন লাইন নামে পরিচিত। চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেনগুলির কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও ব্যবহারিতা সম্পর্কে ট্রায়ালে রানেই নিশ্চিত হয়েছে ডিএম‌আরসি বলে জানা গেছে।

১৯৮৪ সালে দেশের মধ্যে প্রথম কোলকাতায় শুরু হয় মেট্রোরেল পরিষেবা। তিলোত্তমার মুকুটে জুড়ে যায় নতুন পালক। এরপর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে দিল্লির মেট্রোর যাত্রা শুরু ২৫ ডিসেম্বর, ২০০২। গত শুক্রবার ডিএমআরসি প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে। এর ঠিক তিন দিন পরেই দেশের জনতাকে প্রথম চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন পরিষেবা উপহার দিতে চলেছে ডিএমআরসি। এই ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য, আবাসন ও নগর মন্ত্রক ২০১৫ সালের মেট্রো রেলের বিধি সংশোধন করে প্রয়োজনীয় অনুমতিও দেয়।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) দেশের প্রথম সম্পূর্ণ চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করবেন।

চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে বিশাল সাফল্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিল্লির জনকপুরী পশ্চিম স্টেশন থেকে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বোটানিকাল গার্ডেন স্টেশন অবধি চালানো হবে চালকবিহীন এই স্বয়ংক্রিয় ট্রেন। ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিখ্যাত ম্যাজেন্টা লাইনে শুরু হতে চলেছে এই পরিষেবা।

Related Articles