চতুর্দিকে লকডাউন কিন্তু তারপরেও অবশ্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটির জন্য বেরোতে হচ্ছে মানুষকে। আর লোকজনের চলাচলের জেরে কিছুটা হলেও আটকানো গেল এক চরম অমানবিক ঘটনা যার সাক্ষী রইল হাতে গোনা মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে নাকতলায়। যাকে ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স একটি বয়স্ক অথর্ব রোগীকে নেতাজিনগর থানা এলাকার নাকতলা এলাকায় ফুটপাতের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাঙুর হাসপাতাল থেকে এম্বুলেন্স টি এসেছিল ওই এলাকায় দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাকে পৌঁছে দিতে কিন্তু সেই আত্মীয় তাকে রাখতে অস্বীকার করলে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তখন ওই রোগীকে সেই বাড়ির সামনের ফুটপাতে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন চালক ও তার দুই সঙ্গী।
স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় তাকে ফের তুলে নিয়ে চলে যায় অ্যাম্বুলেন্স। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগীকে নামাতে দেখে প্রতিবাদ করেন তারা। তখন ওরা জানান পুলিশ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেবে সে কথা স্থানীয় বাসিন্দারা মানতে চাননি। এরপরে রোগীকে নিয়ে চলে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। বাসিন্দারা তাই এম্বুলেন্স নাম্বার উল্লেখ করে স্থানীয় নেতাজি নগর থানায় গোটা বিষয়টি জানান।
পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পারেন ওই রোগীর নাম সিদ্ধার্থ বন্দোপাধ্যায় বাড়ি বেহালায়। কোমরে যন্ত্রনা নিয়ে তিনি বাঙুরে ভর্তি হয়েছিলেন, ওই হাসপাতালে করোনার চিকিতসা হওয়ায় তাকে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের দাবী সেসময় ওই রোগীর দাদা এসে জানান তাকে নাকতলায় আত্মীয়ের বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই আত্মীয় তাকে নিতে অস্বীকার করেন। পরে ওই দাদার উপস্থিতিতে ফের সিদ্ধার্থবাবুকে পাঠানো হয় বাঘা যতীন স্টেট হাসপাতালে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন এমন হওয়ার কথা নয় উল্টো দিকে নিয়ে এম্বুলেন্সে ফিরে আসা উচিত ছিল কি হয়েছে খতিয়ে দেখা হবে।