দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন চলছে, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এমতবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী এক অভিনব হৃদয়স্পর্শী পদক্ষেপ নিলেন। পাঁচ মাসের এক শিশুকন্যার জন্য হৃদয়স্পর্শী পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা দেখে ভারতবাসীর একাংশ অনাবিল তৃপ্তি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার এই পদক্ষেপকে স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছে বিরোধীপক্ষও। একটি বিরল রোগে অসুস্থ ওই একরত্তি শিশু। সেই রোগের ওষুধ আমেরিকা থেকে আনানো হচ্ছে। ওষুধটির দাম ২১ কোটি টাকা। যার জন্য জি এস টি পড়ছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। কিন্তু ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগানটি যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হল। নিজের উদ্যোগে ওই কন্যা শিশুর মুখের দিকে চেয়ে সম্পূর্ণ মকুব করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে কন্যা শিশুটির নাম তিরা কামাত। তার শরীরে বিরল জেনেটিক রোগ বাসা বেঁধেছে। আমেরিকার থেকে ওষুধ এনে তার ‘জেন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’ করতে হবে। গতবছরের অক্টোবর মাসে এই খবর প্রকাশ্যে আনেন তিরা কামাতের মা বাবা। কারণ, এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থের। এরপর এই বছরের জানুয়ারি মাসে নরেন্দ্রমোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পাশাপাশি জি এস টি যাতে মুকুব করা হয় তার জন্য বিরোধীপক্ষ দেবেন্দ্র ফার্নোভিস, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ জানান। সমস্ত অনুদান এক জায়গায় করে ১৬ কোটি টাকা জোগার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাকি টাকা আর কোনওভাবেই জোগার করা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। এর উত্তরে মোদী জানিয়েছেন, আমদানিকৃত জীবন-রক্ষাকারী ওষুধের শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে তিরার জন্য।
প্রসঙ্গত, এরপর ই ফার্নভিস আরও একবার চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত ছাড়ের জন্য চূড়ান্ত মানবিক ও সংবেদনশীল এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মন থেকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা এবং মিহির কামাত, তিরার মা-বাবা। মুম্বইয়ের আন্ধেরি অঞ্চলের বাসিন্দা তাঁরা। আগস্ট ১৪, ২০২০-সালে তিরার জন্ম হয়। জন্মের দুই সপ্তাহ পরে, দুধ খাওয়ানোর সময়ই কাঁদতে থাকে তিরা। যা ডাক্তারদের কাছে খুবই অস্বাভাবিক মনে হয়। সে সময় একবার শ্বাসও বন্ধ হয়ে গেছিল ছোট শিশুটির। তখন প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারেরা জানান, Spinal Muscular Astrophys (SMA) নামক বিরল রোগে আক্রান্ত তিরা। এর ফলে তিরার শরীরে প্রোটিন তৈরি হবে না। নার্ভ,পেশি ও অন্যান্য অঙ্গের বাড়বাড়ন্ত মন্থর গতিতে হবে। এই বিরল রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ একমাত্র আমেরিকায় তৈরি হয়।