বড় খবর রেশন কার্ড নিয়ে। জোর কদমে রেশন কার্ড নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে দেশের একাধিক জায়গায়। একদিকে যেমন তৈরি হচ্ছে নতুন রেশন কার্ড, পাশাপাশি কাজ চলছে পুরোনো কার্ড বাতিলেরও। যদি কোনও কারণে রেশন কার্ড সাসপেন্ড হয়ে যায়, তাহলে সেটি পুনরায় চালু করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদন জানাতে পারবেন অনলাইনেও। এই কাজ চলছে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড-সহ একাধিক রাজ্যে।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশ জুড়ে কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ সুবিধা চালু করে দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য৷ এই লকডাউনে সবথেকে বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে রেশন কার্ড-এর গুরুত্ব। এবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণ। এখনও পর্যন্ত এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে দেশের মোট ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল৷ নয়া এই সুবিধায় অন্য রাজ্যে গিয়েও রেশন তুলতে পারবেন উপভোক্তারা।
নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও নাগরিক যদি ৩ মাসের মধ্যে রেশন কার্ড ব্যবহার না করেন তাহলে তার রেশন কার্ড বাতিল বলে গণ্য হবে। কয়েকটি রাজ্যে কয়েকজনের কার্ড সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে রেশন কার্ড থাকা প্রত্যেক সদস্যের আধার কার্ড না দেওয়ার কারণে এবং অনেকের কার্ড অটোমেটিক্যালি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সঠিক কাগজপত্র না থাকায়। আবার কার্ড সাসপেন্ড করা হয়েছে রেশন না নিলেও।
কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জাল রেশন কার্ড বাতিল করার জন্যও। এই ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ পদ্ধতি মোদি সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলির মধ্যে একটি। এই প্রকল্প চালু হয়েছে চলতি বছরের লকডাউন চলাকালীন জুন মাস থেকে। গ্রাহকদের ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া হবে পুরোনো রেশন কার্ডের বদলে এবং সমস্ত গ্রাহকদের শনাক্ত করা হবে বায়োমেট্রির মাধ্যমে।