দেশনিউজ

নিমেষেই ধ্বংস করবে শত্রুদের রাডার, দেশের প্রথম অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইলের উৎক্ষেপণে সফল ভারত

ওড়িশার বালাসোরে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল রুদ্রমের পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement
Advertisement

যতদিন যাচ্ছে লাদাখে উত্তেজনার পারদ ততই চড়ছে। চিন যেমন একের পর এক নতুন ফন্দি তৈরী করছে। ভারতও কিন্তু চুপ করে বসে নেই, শত্রুপক্ষকে জবাব দেবার জন্য কড়া হাতে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখছে। আর এবার এই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই শত্রুদের রাডার এড়িয়ে তাদেরই এয়ার ডিফেন্স ধ্বংস করার অস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করল ডিআরডিও। এই উৎক্ষেপণ হয়েছে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোরে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল রুদ্রমের পরীক্ষা করা হয়।

ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও মনে করছে, এই পরীক্ষার পর প্রতিরক্ষার পথে ভারত আরও একধাপ এগোল। এটি ভারতীয় সেনাকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে। রুদ্রম-ই দেশের প্রথম অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল। এটি খুব সহজেই শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্সকে চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারবে। এছাড়া কৌশলগত ক্ষমতাও সরবরাহ করবে এই রুদ্রম। এই মিসাইলটি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা অর্থাৎ ডিআরডিও তৈরী করছে।

ডিআরডিও-র দাবি করছে, এই নতুন মিসাইল রুদ্রম শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে ব়্যাডার, ট্র্যাকিং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ৫০০ মিটার-দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতা থেকে লক্ষ্যে আঘাত হানতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া শব্দের চেয়ে দ্বিগুন গতিতে ছুটতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। আজ সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে রুদ্রম অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইলের (Rudram Anti-Radiation Missile) সফল পরীক্ষা চালাল ভারত।


আজ এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের পর ডিআরডিও-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভবিষ্যতে এই মিসাইল মিরাজ ২০০০, জাগুয়ার, তেজস এবং তেজস মার্ক ২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা যেতে পারে।

Related Articles