আজ প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাজার বন্ধ থাকলেও সোমবার দিনের শেষে সোনার দাম একধাক্কায় অনেক নীচে নেমেছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই দিশাহীন রয়েছে সোনার দর। যদিও ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল সোনার। গতকাল, প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৯,০৬৭ টাকায় এসে পৌঁছায়, এমসিএক্স সূচকে ০.১৫% পতনের ফলে। যা বিগত এক মাসের সর্বনিম্ন। সূচকে ০.২৪% পতনের জেরে প্রতি কেজি রুপোর দাম হয় ৬৬,৪৭৯ টাকায়। বুধবার ফের বাজারে কেনাবেচা চালু হবে। তখন কীরূপ অবস্থা হয় দেখার।
শুধু এদেশেই নয়, আমেরিকায় অর্থনৈতিক সংস্কার বিলম্বিত হওয়ার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারেও এ দিন সোনার দাম ফের কমেছে। স্পট গোল্ড সূচকে ০.১% পতনের ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে হয়েছে ১,৮৫৩.৯৯ ডলার এবং রুপোর দাম হয়েছে ২৫.৩০ ডলার। যা সূচকে ০.৬% পতনের ফলে হয়েছে।
অন্যদিকে, অতিমারী আক্রান্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আমেরিকার সদ্যনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার আর্থিক সংস্কার প্যাকেজের প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিপাবলিকানরা। তাঁদের কথা অনুযায়ী, এই অর্থের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত দামী এবং এর পরিবর্তে কম অর্থ বরাদ্দ করা দরকার। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত আর্থিক প্যাকেজ দায়ী হতে পারে মুদ্রাস্ফীতির জন্য। এইরূপ সংকটকালে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়তে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এদিন এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলির অধিকাংশই লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। পাশাপাশি, রাতারাতি মার্কিন রাজস্ব দফতরের ছাড়া বন্ডে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার চাঙ্গা থাকায় নতুন উৎসেচকের অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা, যা শেয়ারের দর উর্ধ্বমুখী করার সম্ভাবনা প্রবল করে।
শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুসারে, যেহেতু কোভিড সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি ঘটছে, সেহেতু, সোনার দাম নির্দিষ্ট সীমার নীচে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে।