দিন দিন গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে অসস্তিতে ভুগছে গ্রাহকরা। সকলেরই জানা ছিল যে,রান্নার গ্যাসের দাম এর ওপর ভিত্তি করেই পরিবর্তন হতো ভর্তুকির অঙ্ক নির্ধারণ। এককথায় রান্নার গ্যাসের দামের সমানুপাতিক হারে নির্ধারিত হতো ভর্তুকির টাকা। অর্থাৎ রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লে বেড়ে যেত ভর্তুকির অঙ্ক। অন্যদিকে, দাম কমার সাথে সাথে কমানো হত ভর্তুকির টাকা। এটা গ্যাসের দাম ঘোষণা করার সময় প্রতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে বিরোধীরা একটি অভিযোগ করে আসছে যে, গ্যাসের দাম বা উপভোক্তাদের কোনো সুবিধার দেওয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রকাশ করা হয়, সেভাবে কেনো জানানো হয় না দাম বাড়লে বা ভর্তুকি না মিললে। গত কয়েক মাস ধরে বহু গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি না ঢোকারও অভিযোগ উঠেছে।
বিরোধীদের একাংশের দাবি, এতদিন ভর্তুকি নিয়ে গোলমালের বিষয়টি সামনে আসেনি। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের টাকা ঢোকার পর থেকেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বহু সাধারণ গ্রাহক গোলমালের বিষয়টি সামনে নিয়ে আনেন। জানা গেছে গত কয়েক মাস গ্যাসের দাম কমায় ভর্তুকি ঢোকেনি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে। কিন্তু এবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবার পরেও ভর্তুকি নিয়ে স্পষ্ট করে বলছেনা কেন্দ্র সরকার, এমনটাই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
জানা গেছে, কলকাতায় গত মাসে ৩১.৫০ টাকা দাম বেড়েছিল ১৪.৫ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের। সেই সময় ভর্তুকি হিসেবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ১৯.৫৭ টাকা জমা পড়েছিল। চলতি মাসে কলকাতায় গ্যাসের দাম ৪.৫০ টাকা বাড়লেও ভর্তুকির পরিমাণ একই থাকবে বলে জানা গেছে। তেল সংস্থাগুলির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রক ভর্তুকির বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।