অফবিটনিউজ

এখন তো মমতা ব্যানার্জি, বলুন তো পচিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর নাম কি? ৯৯% বাঙালি ব্যর্থ হয়েছেন

Advertisement
Advertisement

General Knowledge: সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত সকলেরই। আসলে একটা সময় পড়াশোনার বইয়ের পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তরের বই পড়তেন পড়ুয়ারা। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে। আজকাল আর কারোর নেই এতো সময়। তবে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে কিন্তু অবগত থাকতেই হবে। আজকাল কম্পিটিটিভ পরীক্ষাতে এমনকি সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ইন্টারভিউতে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত নানান প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করা হয় চাকরি প্রার্থীদের। আজকের প্রতিবেদনেও এমনই এক প্রশ্নের জবাব রইল।

রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নাম কী? এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না এমন মানুষ কেউ নেই। তবে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর নাম কী? তাহলে হয়তো অনেকেই ঢোক গিলতে বাধ্য হবেন। আসলে এই উত্তরটা কিন্তু অনেকেরই অজানা। বলা ভালো, বাংলার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ জানেন না এই উত্তর। চিন্তা নেই, অজানা এই প্রশ্নের উত্তর রইল আজকের প্রতিবেদনে।

আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক গতিশীলতায় মোড়া। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নানা নেতাদের সাক্ষী হয়েছে এই রাজ্য। বিগত প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বিশিষ্ট ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন তিনি আর অন্য কেউ নন ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ। একটি বা দুটি নয় পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পৃথক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সরকারের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন ডক্টর প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ। এরপর ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট ফ্রন্ট সরকারের হয়ে সামলেছেন দায়িত্ব এবং তৃতীয়বার অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পুনরায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ।

১৮৯১ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। হিন্দু যাদব পরিবারের সদস্য ছিলেন ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ। তাঁর বাবার নাম পূর্ণচন্দ্র ঘোষ এবং মায়ের নাম বিনোদিনী দেবী। জগন্নাথ কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পড়াশোনা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯১৩ সালে তিনি শিল্পকলায় স্নাতক এবং রসায়নে B.SC ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৬ সালে রসায়নের সম্পন্ন করেন M.SC। উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করার পরে ঢাকা কলেজের রসায়ন গবেষণা স্কলার হিসেবে নিযুক্ত হন। সেখানে কাজ করেন প্রায় দু’বছর।

এরপর ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একটা সময় চাকরি ছেড়ে অভয় আশ্রম শুরু করেন তিনি। গড়ে তোলেন স্বেচ্ছাসেবক দল। আর এরপরই ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে আটক করে, ঠিক তখনই তিনি নির্বাচিত হন প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি। এখান থেকেই শুরু তাঁর রাজনৈতিক জীবন। ব্রিটিশ শাসন প্রত্যাহার এবং জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন ডক্টর প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ।

Related Articles