শহরের মিঠে রোদ জানান দিচ্ছে শীত আগত। আর শীত মানেই বিয়ের মরশুম। বিয়ের অনুষ্ঠানে সোনা প্রেমীরা সোনা পরতে বেশি পছন্দ করেন তা বলাই বাহুল্য। কনে থেকে আত্মীয় সকলেই বেঁচে নেয় সোনাকে। কিন্তু এরই মাঝে সোনা প্রেমীদের জন্য খারাপ খবর। সপ্তাহের শুরুর দিনেই ক্রেতাদের মুখের হাঁসি কেড়ে নিয়ে দাম বাড়লো সোনার।
মার্চ মাস থেকে দেশজুড়ে জাঁকিয়ে রাজ করছে অদৃশ্য ভাইরাস করোনা। করোনা আবহের শুরুর দিকে অতিরিক্ত হারে বেড়ে গিয়েছিল সোনার দাম। যার জেরে সেই সময় চরম চিন্তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। যদিও পরবর্তীকালে সোনা প্রেমীদের মুখের হাঁসি ফিরিয়ে দিয়ে দাম কমে সোনার। কিন্তু এরই মাঝে বছর শেষের মুখে ফের দাম বাড়লো সোনার।
সমীক্ষা বলছে চলতি বছরে মোটের উপরে সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪%। বলে রাখি, বৃহস্পতিবার কিন্তু বাজার বন্ধের সময় এমসিএক্স সূচকে সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫০,০৭৩ টাকা। তবে, আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক সোমবার ঠিক কতটা বেড়েছে সোনার দাম।
এদিন এমসিএক্স সূচকে ০.৯% উত্থানের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৫০,৫৬১ টাকা। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোমবার সূচকে ১% বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার দাম। ফলে এদিন স্পট গোল্ড সূচকে ১ শতাংশ দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৯৫.০৩ ডলার। ইউএস সূচকে ০.৮% উত্থানের জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৯৯.১০ ডলার। তবে, এটা বলতেই হয় গত অগস্ট মাসে ৫৬,২০০ টাকার চেয়ে এখনও নীচে রয়েছে সোনার দর।
সোনার পাশাপাশি সুযোগ বুঝে দাম বেড়েছে রুপোর। এদিন এমসিএক্স সূচকে ৩.১৪% উত্থানের জেরে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৯,৫৭৮ টাকা। তবে, আগস্ট মাসে কিন্তু রুপোও কেজিপ্রতি প্রায় ৮০,০০০ টাকা দাম পৌঁছেছিল। অন্যদিকে সোমবার স্পট গোল্ড সূচকে ৩% উত্থানের ফলে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৬.৬৩ ডলার। তবে, বৃহস্পতিবার কিন্তু বাজার বন্ধের সময় এমসিএক্স সূচকে রুপোর দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬৭,৫০৯ টাকা।
