এবার পেট্রল-ডিজেলের কারচুপি রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, পেট্রল পাম্পে যদি কোনো চুরির অভিযোগ জমা পড়ে তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ জমা পড়লেই সেটির তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পি পেট্রল পাম্পটির লাইসেন্স ২ বছর পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে। আর যদি অভিযোগ জমা পড়ে তাহলে পুরোপুরি লাইসেন্স বাতিল করা হবে। নতুন গ্রাহক সুরক্ষা আইন ২০১৯ প্রযোজ্য হবার দিন থেকেই এই বিধি কার্যকর হয়েছে।
পেট্রল পাম্পে সাধারণ মানুষেরা ১০০/৫০০/১০০০ টাকার পেট্রল কেনে। আর ঠিক তখনই কারচুপি করে পাম্পের মালিক ও কর্মচারীরা। শুধু এই নয়, আরও অনেক উপায়ে চুরির অভিযোগ জমা পড়ে। তাই সাধারণ মানুষের কষ্টের উপার্জন যাতে কোনোভাবেই বিফলে না যায় তাই মোদী সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুধু এইটাই নয়, কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী সমস্ত প্রস্তুতকারক সংস্থা, আমদানি, প্যাকারের নাম, ট্যাক্স সহ দাম, মেয়াদ শেষের তারিখ, ওজন, ভোক্তা অভিযোগ নম্বর সহ সব তথ্য জিনিসের মধ্যে লেখার নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে। এমনকি অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট করে সব ই-কমার্স সাইটকে তাদের পণ্য কোন দেশ থেকে আসছে তা লিখতে হবে। কেউ যদি নিয়ম না মানে তাহলে পোর্টাল থেকে পণ্য সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবে যদি নিয়ম না মানা হয়, তাহলে প্রস্তুতকারক ও বিক্রয়কারীর কঠিন শাস্তি হতে পারে।