আন্তর্জাতিকনিউজ

‘মোদী মহান’! হুমকির পর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প! পাল্টা জবাব দিলেন মোদী

Advertisement
Advertisement

দেবপ্রিয়া সরকার : বর্তমানে সারা বিশ্ব করোনার সংক্রমণে বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৭৩৪ জন, যার মধ্যে মৃত হয়েছে ১৬৬ জনের। তবে জানা গিয়েছে, ভারতের করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে প্রচুর মানুষ। সুস্থ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। চিকিৎসা দপ্তর সূত্রে রিপোর্ট যেহেতু এখনও পর্যন্ত করোনার কোনো সঠিক টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি তাই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, আর তাতেই নাকি লাভ হয়েছে প্রচুর। প্রচুর মানুষ সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। এই খবর কানে পৌঁছতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোদিকে বিদেশে ওষুধ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলেন। এবং যত শীঘ্রই সম্ভব আমেরিকায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানোর জন্য আবেদন জানায়।

ট্রাম্পের এই আবেদনের পর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানিতে রাজি হয়ে যায়। ওই ওষুধ পেয়ে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বুধবার টুইট করে ট্রাম্প মোদিকে ‘মানবিক নেতা’ বলে সম্বোধন করেছেন। টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোই আসল বন্ধুত্ব। মোদীর নেতৃত্ব শুধু ভারত নয় সারা বিশ্বের জন্য উপকারী।’ যদিও এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদী মহান, তিনি সত্যিই খুব ভালো।” ট্রাম্পের এই টুইটের জবাবে মোদি জানিয়েছেন, এই ঘটনার দরুন ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও মজবুত হলো। ভারত পুরোদমে করোনার সঙ্গে লড়াই করবে‌ এবং এই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আমরা এক হয়ে লড়ব।

ইতালির পর করোনার জেরে আমেরিকার অবস্থাও মৃত্যুপুরীর মতো। আমেরিকায় এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষের বেশি, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের। সারা বিশ্বের যত পরিমান হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি হয় তার মধ্যে ৭০% তৈরি হয় শুধুমাত্র ভারতে। করোনায় এই ওষুধ ব্যবহারের কথা সর্বপ্রথম জানায় মার্কিন সংস্থা সংস্থা সিডিসি। বর্তমানে এই ওষুধ সর্বজনগ্রাহ্য হয়েছে। ভারত নিজের দেশে ওষুধের চাহিদার সামঞ্জস্য বজায় রেখে বাকি ওষুধ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles