করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে যেভাবে থাবা বসিয়েছে তার ফলে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়া মৃত্যুও হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা এতদিন ব্যর্থ করোনা ভাইরাস এর প্রতিষেধক আবিষ্কারে।
তার মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ এর কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট গত শুক্রবার বিবিসি রেডিও-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই তারা শুরু করে দিয়েছে।
এই মারণ ভাইরাস যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছে তা রুখতে যত শিগগির সম্ভব এর প্রতিষেধক তৈরি করার জন্য এই ব্রিটিশ সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India) এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই প্রতিষেধক উৎপাদনে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, একথা জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা। তিনি আরও জানান, প্রতিষেধকটি তৈরি হলেও সেটি মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে তার ফলাফল আগে দেখতে হবে তারপর এটিকে বাজারে ছাড়া হবে।
কিন্তু প্রতিষেধকটি মানব শরীরে কোনো খারাপ প্রভাব ফেলবে নাকি না জেনে কেন, এই প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছে এই প্রশ্ন আদর পুনাওয়ালা কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘করোনা পরিস্থিতি দিন দিন যে রূপ নিচ্ছে তাতে দরকারি প্রয়োজনে করোনা টিকার জোগান দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে সংস্থা। সিরাম ইনস্টিটিউট নিজেরাই ঝুঁকি নিয়ে আপাতত কয়েক লক্ষ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করে রাখছে’। তিনি আরও বলেন এর ফলে ভবিষ্যতে অনেক লাভ হবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে দেশের চাহিদা মেটানোর পর বাকি ডোজ সরকারি অনুমতি নিয়ে অন্য দেশে পাঠানো হবে।