দেশজুড়ে লকডাউন এর মেয়াদ বাড়িয়ে 3 মে করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল 20 এপ্রিল থেকে দেশের কিছু কিছু ক্ষেত্র লকডাউন এর আওতার বাইরে রাখা হবে। সেইমতো সোমবার থেকে দেশের কিছু কিছু জায়গায় কিছু পরিষেবা চালু হচ্ছে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে দেশের যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ সেইভাবে ছড়ায়নি সেখানে শর্ত সাপেক্ষে কয়েকটি পরিষেবা চালু করার ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এর মধ্যেও দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, করোনার থাবায় মানুষ বিপর্যস্ত। লকডাউনের মধ্যে থেকেও নির্মূল করা যাচ্ছে না। গত 24 ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরো 36 জনের। এরফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট 543। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছে গত 24 ঘন্টায় দেশে আরো 1553 জন আক্রান্ত হয়েছেন যা যথেষ্ট আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 17265 জন।
প্রসঙ্গত কৃষি, মৎস্য চাষ, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, গ্রামীণ এলাকায় নির্মাণ কাজের মতো পরিষেবার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, কিছু কিছু সরকারি অফিস চালু হচ্ছে আজ থেকে ,পুরোটাই হবে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনটেন করে। তবে বিভিন্ন রাজ্যের হটস্পট এলাকার মধ্যে থাকা কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি আপাতত এ ছাড়ের আওতার বাইরে থাকবে। এই পর্বে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র। তাই ছাড় দিলেও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে যদি কোনভাবে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেই ছাড় প্রত্যাহার করা হবে বলেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র থেকে রবিবার অবশ্য পালনীয় বিধির নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে লকডাউন প্রত্যাহার করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত বিমান সংস্থাগুলি কে নতুন করে booking নিতেও মানা করে দেওয়া হয়েছে।
একদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন কার্যকর করা অপরদিকে নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিষেবা চালু রাখা- কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।