দেশনিউজ

নতুন রুপে ভারতীয় বায়ুসেনা! বিশ্বের বৃহত্তম ও শক্তিশালী বাহিনী হতে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা

Advertisement
Advertisement

প্রায় ৮৮ বছর ধরে আমাদের দেশের আকাশসীমা রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বায়ুসেনা। এমনিতেই ভারতীয় বায়ুসেনা বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম বাহিনী। বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনাকে যেভাবে সাজানো হচ্ছে তার ফলে খুব শীঘ্রই ভারতীয় বায়ুসেনা বিশ্বের প্রথম বৃহত্তম বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

একনজরে দেখে নিন ভারতীয় বায়ুসেনার ৫ টি প্রজেক্ট:-
১) লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার:- জানা গিয়েছে পাকিস্থানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধের পরই এই প্রজেক্টের পারমিশন দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে বিশাল প্রজেক্ট। এই হেলিকপ্টার ভবিষতে পাকিস্তানের সাথে ছায়াযুদ্ধ চালাতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার এর নির্মাতা HAL। এই হেলিকপ্টার নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক অপারেশন, সন্ত্রাস বিরোধী হামলা ইত্যাদি অপারেশনে ব্যাবহার করা যেতে পারে।

২) HAL রুদ্র:- HAL এর তৈরি করা এটি একটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টার এর মধ্যে থার্মাল ইমেজিং এর ব্যাবস্থার সঙ্গে থাকবে কুড়ি এমএম টুরেন্ট গান, সত্তর এমএম রকেট পডস, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল এছাড়া আকাশ পথে যুদ্ধ করার মিসাইল প্রভৃতি।

৩) Sukhoi ফিফথ জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট:- ভারত এবং রাশিয়া যৌথভাবে এই প্রজেক্ট কাজ করছে। এটি একটি মাল্টি রোল ফাইটার। এই প্রজেক্টের জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। কিন্তু জানা গেছে মোট খরচের ৩৫ শতাংশ খরচ দেবে ভারত। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনা এর কাছে যে T-50 রয়েছে তার পরিবর্ত হিসেবে আনা হচ্ছে এই রোল ফাইটার। এটি এই এয়ারক্রাফটে এমনসব মিসাইল আগে থেকে লাগানো আছে যেগুলো আকাশপথে, আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম।

৪) HAL অ্যাডভান্স মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট:- এই এয়ারক্রাফট এর নির্মাতা HAL। এটি কেবলমাত্র আমেরিকার কাছে রয়েছে। এটি ভারতের কাছে এলে ভারত ২য় দেশ হবে যার কাছে এই এয়ারক্রাফট থাকবে। এতে থাকবে সব ফিফথ জেনারেশন ফিচারস, যেমন- সুপার ক্রুজ,  AESA র‍্যাডার। এই প্রজেক্টে মোট বরাদ্দ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।

৫) DRDO রুস্তম:- এটি একটি বিশেষ ধরনের স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধযান। জানা গেছে, বিশেষ বিসেস অভিযানের অংশ করতে বায়ুসেনায় আনা হবে এই যুদ্ধযান। এটি ব্যাবহার করা হবে সীমান্তে নজরদারি চালাতে, জঙ্গলে আগুন লাগলে তা চিহ্নিত করতে, ধস মাপতে, ভিড়ে নজরদারি চালাতে ইত্যাদি।

Sangbad Safar Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles