Featuredনিউজ

Egg yolk: কোন রঙের ডিমের কুসুমে পুষ্টি সবথেকে বেশি? রঙের এই ভিন্নতাই বা কেন?

ডিমের কুসুমের রঙ আলাদা আলাদা কেন হয়?

Advertisement
Advertisement

ডিম তো আমরা সবাই ভালবেসে খাই। স্বাস্থ্যের পক্ষে ডিম যে কতটা উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পুষ্টিবিদরা বলেন প্রতিদিন যদি আপনার আহারে এই ডিম থাকে তাহলে নানা রকম রোগ জীবাণু থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন। ডিমের মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক সহ আরো এমন অনেক উপাদান থাকে যা আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। শিশু থেকে বয়স্ক প্রত্যেকের পছন্দের এই ডিম অনেক সময় বিভিন্ন রঙের কুসুমে দেখতে পাওয়া যায় (Egg yolk)। কখনো ডিমের কুসুমের রং হয় সাদাটে আবার কখনো গাঢ় হলুদ বা কমলা।

অনেকে মনে করেন ডিমের কুসুমের (Egg yolk) আলাদা আলাদা রঙের জন্য এর পুষ্টিগুনেও নানা রকম তারতম্য হয়। আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার-এর ডিম সংক্রান্ত গবেষণা থেকে জানা গেছে একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ গ্রাম ক্যালোরি এবং ৭.৭৫ গ্রাম থাকে। এবার দেখা যাক কুসুমের রঙের পরিবর্তনের ভিত্তিতে ডিমের পুষ্টি গুণের কোনো তারতম্য আদৌ হয় কিনা।

ডিমের কুসুমের (Egg yolk) রং কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের একটি রাসায়নিকের বিক্রিয়ার প্রভাবে। মনে করা হয় খোলা জায়গায় মুরগি যত ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খাবে তার ডিমের রং তত গাঢ় রঙের হবে। সেই সঙ্গে মুরগি যদি ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন রেড বেল পেপার) বেশি পরিমাণে খায় তবেও তার কুসুমের রং গাঢ় কমলা হয়।

বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে খামার বা পোলট্রিতে পালন করা মুরগির ডিমের থেকে স্বাভাবিক ভাবে প্রকৃতি থেকে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিমে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এবং প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিমের রংও বেশি গাঢ় হয়। তবে পুষ্টিবিদদের মতে ডিমের কুসুমের রঙের পরিবর্তনে পুষ্টিগুণের খুব একটা তারতম্য হয় না। কুসুমের রং (Egg yolk) গাঢ় বা হালকা যাই হোক না কেন দুই ধরনের ডিমই স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।

Related Articles