অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই বাবা মায়ের অনাগত সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে ব্যাকুলতার সৃষ্টি হয়। আধুনিক চিকিৎসায় আলট্রাসোনোগ্রাফির সাহায্যে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানা গেলেও তা শাস্তিযােগ্য অপরাধ। তাই এই পদ্ধতি থেকে দূরে থেকে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে তা গর্ভবতী নারীর কিছু লক্ষণ দেখে খুব সহজেই বোঝা যায়। দৈহিক ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায় এবং পেটটা অতিরিক্ত মাত্রায় ফোলা মনে হয় মায়ের পেটে ছেলে সন্তান থাকলে। আবার মেয়ে সন্তান হলে সাধারণত মায়ের সারা শরীর সহ মুখেও মেদের হার বৃদ্ধি পায়।
সন্তানের জন্ম হতে চলেছে বলে ধরা যেতে পারে যদি পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একাধিক পর্যবেক্ষণ বলছে, যদি স্বাভাবিকের থেকে মায়ের চুলের গ্রোথ বেশি হয়, তাহলে কোনও সন্দেহই থাকে না যে ছেলে সন্তান আসতে চলেছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘােরা, বমি-বমি ভাব লক্ষণ দেখা দিলে সন্তান ছেলে হতে পারে বলে বলছে একাধিক স্টাডি।
স্বামী যদি দেখেন তাঁর ক্লান্ত স্ত্রী বাঁদিকে ফিরে ঘুমােচ্ছেন, তাহলে অনাগত সন্তান ছেলেই হবে বলে ধরতে পারেন। আবার মায়ের পেট বেশি নীচের দিকে ঝুঁকে গেছে বলে মনে হলে সম্ভাবনা বেশি থাকে পুত্র সন্তান হওয়ার। গর্ভাবস্তায় প্রায়শই বাচ্চার হার্ট রেট মেপে থাকেন চিকিৎসকেরা, আর সেই সময় যদি বাচ্চার হার্ট রেট ১৪০ বিট/মিনিট থাকে, তাহলে ধরতে পারেন পুত্রসন্তান আসতে চলেছে নিঃসন্দেহে।
একাধিক গবেষণায় বলছে, বুঝতে হবে সন্তান ছেলে হতে চলেছে যদি মায়ের প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলদেটে হয়। আর যদি মায়ের প্রসাব উজ্জ্বল হলুদ রঙের প্রস্রাব হয় তাহলে নিঃসন্দেহে মা কন্যা সন্তান ধারণ করেছেন। প্রেগন্যান্সির সময় হাতের তালু বারে বারে শুকিয়ে এলে পুত্র সন্তানের প্রবল সম্ভাবনা আছে।
প্রেগন্যান্সির সময় একাধিক হরমােনের ক্ষরণ ঠিক মতাে না হওয়ায় এমনিতেই বিভিন্ন রকমের চর্ম রােগ দেখা যায়। আর সে ক্ষেত্রে যদি ব্রণর সমস্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলে জানবেন আপনার গর্ভে পুত্র সন্তান বর্তমান। ছেলে সন্তান হওয়ার আগে মায়ের ক্ষিদে খুব বেড়ে যায়। অল্প সময় অন্তরই মনে হয় খিদে পাচ্ছে।
গর্ভাবস্তায় ভাবী মায়ের শরীরে দুধের সঞ্চয় হতে শুরু করায় ব্রেস্টের মাপ বাড়তে থাকে। এই সময় সাধারণত ডান দিকের তুলনায় বাঁদিকের ব্রেস্ট একটু বেশি মাত্রায় ভারী হয়ে যায়। আপনি পুত্র সন্তান জন্ম দিচ্ছেন বলে ধরে নিতে পারেন যদি উল্টো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এরকমই বেশ কিছু সাধারণ পর্যবেক্ষণে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ বুঝতে পারেন দম্পতি।