বিনোদন

বাবার মৃত্যুর পরে জন্ম নিল সন্তান, মা হলেন অভিনেতা চিরঞ্জীবীর স্ত্রী মেঘনা

Advertisement
Advertisement

প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে পরলোকে গমন করলেন অভিনেতা চিরঞ্জীবী সারজা। অবশেষে সকল কষ্টের মধ্যেও একটু খুশি নেমে আসলো প্রয়াত অভিনেতার পরিবারে। বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন চিরঞ্জীবীর স্ত্রী মেঘনা ।

কথায় বলে ‘জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে’। গত জুন মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী মেঘনাকে রেখে চিরঘুমে ডুব দেন চিরঞ্জীবী সারজা। কেটে যায় চার-চারটে মাস। প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রীর গর্ভেই বড় হচ্ছিল তাদের সন্তান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আসলো সেই খুশির মুহূর্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্মদিলেন মেঘনা। পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন প্রয়াত অভিনেতা চিরঞ্জীবী সারজার দাদা ধ্রুব সারজা।

ইনস্টাগ্রামে ধ্রুব সারজা লেখেন ‘ছেলে হয়েছে, জয় হনুমান’। চিরঞ্জীবী- মেঘনার ছেলের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে রূপোর দোলানাও কিনেছেন ধ্রুব। ধ্রুব বলেন- ‘আমার ভাইয়ের ইচ্ছে ছিল ওর ছেলে রূপোর দোলনায় ঘুমাক। আমি ওর এই স্বপ্নটা পূরণ করেছি মাত্র। ছেলের নাম ঠিক করিনি, ওটা মেঘনাই রাখবে’। নাতিকে পেয়ে খুব খুশি চিরঞ্জীবীর মা। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান- ‘আমি খুব খুশি। মনে হচ্ছে আমি আবার চিরঞ্জীবীকেই দেখছি। আমরা এই ক-মাস ধরে প্রচন্ড যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছে, আজ আনন্দের দিন। মেঘনা আর চিরঞ্জীবী আজকের দিনেই আংটি বদল সেরেছিল, আজ খুব শুভ দিন’।

ইতিমধ্যেই প্রয়াত চিরঞ্জীবীর একরত্তি ছেলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সবার মুখে একটাই কথা ‘আমাদের চিরু ফিরে এসেছে’। বলে রাখি, ২০১৮ সালের মে মাসে অভিনেত্রী মেঘনা রাজের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা। এরই মাঝে জুন মাসে জীবন যুদ্ধের কাছে হার মানে চিরঞ্জীবী। কিছুদিন আগেই স্বামী চলে যাওয়ার যন্ত্রণা মনের মধ্যে চেপে রেখে হাঁসি মুখে সাধ খন তার স্ত্রী মেঘনা। সাধের অনুষ্ঠানে কখনও শাড়ি পরে আবার কখনও গাউন পরে স্বামীর কাটাউটের পাশে পোজ দিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী। যে চলে গেছে সে আর ফিরবে না তবে, বর্তমানে চিরঞ্জীবীর ছেলেকে নিয়ে কিছুটা হলেও মন ভালো থাকবে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles