সেলেবদের পুরোটাই যেন গল্পে মোড়া, রিল থেকে রিয়েল লাইফ। সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও। শারীরিক নির্যাতন, সন্দেহ, পরকীয়া, মারধর সব কিছুই সহ্য করতে হয়েছে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়াকে। ঐশ্বর্য-সলমন ছিলেন একসময় বি টাউনের অন্যতম চর্চিত কাপল। চর্চার বিষয় তাঁদের প্রেম থেকে ব্রেক আপ সবটাই। তবে কিছু ভুল পদক্ষেপের জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্যর কেরিয়ার।
দক্ষিণী সিনেমা দিয়েই নিজের ফিল্ম কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বলিউডের প্রথম সারির তাবড় এই অভিনেত্রী। বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতে নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য তাঁর বলিউড অভিষেকের আগে। ১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের ছবি ‘ইরুভার’-এ প্রথম দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। বলিউডে পা রেখে হাম দিল দে চুকে সনম, তাল, দেবদাস, জোশ, মহব্বতে-একের পর এক হিট ছবি প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়ার। ঐশ্বর্যকেই তাঁদের ছবিতে কাস্ট করতে চাইছিলেন সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকরা।
এরপর ব্যক্তিগত জীবন থেকে কেরিয়ার, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন খান। সেই পরিস্থিতিতেই বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেন ঐশ্বর্য। যার ফলে তাঁর গোল্ডেন কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যায় সহজেই। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার সাফল্যের পরেই পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি সলমন-ঐশ্বর্যকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘বাজিরাও মস্তানি’ সিনেমায়। কিন্তু ঐশ্বর্য তখন তা করতে রাজি না হওয়ায় ২০১৫ সালে রণবীর-দীপিকা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
সুপার হিট তকমা পাওয়া ‘ভুল ভুলাইয়া’ ছবির অফারও প্রত্যাখ্যান করেছিল ঐশ্বর্য। রানী মুখার্জি অভিনীত ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিটির অফারও প্রথমে করা হয়েছিল ঐশ্বর্যকে, কিন্তু তাতেও রাজি হননি। গর্ভাবস্থার কারণে মাঝপথে ছেড়ে দেন মধুর ভান্ডারকরের ‘হিরোইন’ ছবির শ্যুট। ঐশ্বর্য ছিলেন ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবির প্রাথমিক লিড কাস্টেও। ব্যক্তিগত জীবনে লড়াইয়ের কারণে করতে রাজি ছিলেন না ‘চলতে চলতে’ ছবিটিও। এছাড়াও নিজের ব্যক্তিগত কারণে ‘বীর-জারা’, ‘দোস্তানা’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘কর্পোরেট’ এর মতো সুপারহিট ছবির অফার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।