ধনী হোক কিংবা মধ্যবিত্ত সকলেরই নিজস্ব গাড়ি কেনার শখ থাকে। কিন্তু গাড়ি কেনার আগে ভারতীয় গ্রাহকেরা নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দিকে বেশি জোর দিচ্ছেন। একটি নতুন গাড়ি কেনার জন্য তারা ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা (Car Under 7 Lakh)বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। কিন্তু কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নেন গাড়ির বিল্ড কোয়ালিটি এবং যাবতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফিচারস।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আজকাল আর কোন ক্রেতাই বোকা নেই। যেকোনো ধরনের গাড়ি কেনার আগে তারা মাইলেজ এবং সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি গাড়িটির রেটিংস এবং বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে জেনে নেন। তাই গাড়িটি কেনার আগে তার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা হয়ে যায় ক্রেতার। তারা বেশি বিনিয়োগ (Car Under 7 Lakh) করতে রাজি আছে কিন্তু সুরক্ষার সাথে কোন রকম আপোষ করতে রাজি নয়।
আপনারা কি জানেন ভারতীয় বাজারে যেসব গাড়ি বিক্রি হয় তার মধ্যে কম বাজেটের গাড়িগুলো মাইলেজ ভালো দিলেও সুরক্ষার দিক থেকে ততটাও ভালো নয়। কোথাও যেন একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন থেকেই যায়। সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্য মারুতি সুজুকির গাড়ি হচ্ছে সবথেকে প্রথম পছন্দ। কম বাজেটের (Car Under 7 Lakh) মধ্যে ভালো মাইলেজ দেওয়া গাড়ি একমাত্র এই কোম্পানিরই রয়েছে। কিন্তু এই গাড়িটি নিরাপত্তার দিক থেকে ফাইভ স্টার রেটিংস কখনোই পায়নি।
মারুতি সুজুকির Baleno হল সর্বাধিক বিক্রি হওয়া হ্যাচব্যাক গাড়ি। এর দুর্দান্ত ফিচারস এবং অত্যাধুনিক ডিজাইন সহজেই গ্রাহকদের মন জয় করে। এই গাড়িটি একটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির হ্যাচব্যাক গাড়ি তবুও রেটিং এর ক্ষেত্রে একেবারে জিরো। এই ধরনের গাড়ির দাম প্রায় ৬.৬১ লক্ষ টাকা (Car Under 7 Lakh)। কিন্তু এই একই দামে আরো বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে যারা ভালো বিল্ড কোয়ালিটি এবং নিরাপত্তা সম্পন্ন গাড়ি দিতে পারছে।
Baleno কে টেক্কা দিতে মার্কেটে আছে Hyundai i20 এবং Tata Altroz এর মত দুর্দান্ত গাড়িগুলো। একই দামে বিক্রি হয় এই তিনটি গাড়ি কিন্তু তবু কেনো রেটিং এর দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে Tata Altroz? যার দাম ৬.৬১ লক্ষ থেকে ৯.৮৮ লক্ষ টাকার মধ্যে (এক্স-শোরুম)। সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে টাটার এই গাড়ি। প্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তায় Altroz-কে ফাইভ-স্টার এবং শিশুদের নিরাপত্তায় থ্রি-স্টার রেট দেওয়া হয়েছে। Hyundai i20-কে ক্র্যাশ টেস্টে থ্রি-স্টার দেওয়া হয়েছে। গাড়িটিতে আছে এয়ারব্যাগ, চাইল্ড লক, চাইল্ড সিটের জন্য অ্যাঙ্কর পয়েন্ট, ওভারস্পিড ওয়ার্নিং, স্পিড সেন্সিং ডোর লক, অ্যান্টি থেফ্ট ইঞ্জিন ইমোবিলাইজার, সেন্ট্রাল লকিং, টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেমের মতো বিভিন্ন ফিচার। এতে পাওয়া যাবে ৯০ bhp পাওয়ার এবং ২০০ Nm-এর সর্বোচ্চ টর্ক-সহ ম্যানুয়াল।