2020 তে দাড়িয়েও আজ আমরা মন থেকে কতটা আধুনিক? কতটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী? আজকের দিনে দাড়িয়েও একটা মেয়ের বিয়ে টিকে থাকছে শাখা সিঁদুরের দাড়িপাল্লায়।
হিন্দু রীতি নীতি অনুসারে বিবাহিত মহিলা শাঁখা-সিঁদুর পরতে অস্বীকার করছেন মানে তিনি এই বিয়েটিকে স্বীকার করছেন না। আর এই অভিযোগ দায়ের করা একজন পুরুষের বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। 2020 সালে এসেও আদালতের আদালতের এমন রায় কে হাস্যকর বলে মনে করেছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন বহু মানুষ।
স্বামীর দায়ের করা বৈবাহিক আপিল বিষয়ে শুনানির পরে প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি সৌমিত্র সাইকিয়া সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের একটি আদেশ স্থগিত করে। ওই আদেশে স্ত্রী তরফের স্বামীর প্রতি কোন নিষ্ঠুর ব্যবহার পাওয়া যায়নি এই কারণেই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ওই স্বামীর প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ওই ব্যক্তির পারিবারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন।
শাঁখা সিঁদুর পরতে স্বীকার না করলে ওই মহিলাকে অবিবাহিত মনে হবে বা আপিলকারী সঙ্গে তিনি এই বিয়ে টিকিয়ে রাখতে অস্বীকার করছেন বলেই ইঙ্গিত দেয়। স্ত্রীর এই ধরনের আচরণ নির্দেশ করে যে তিনি আপিলকারী সাথে তার বিবাহিত জীবন চালিয়ে যেতে রাজি নয়। 19 জুনের রায়ে এমনটাই জানিয়েছে উচ্চ আদালত।
তবে 2012 সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল কিন্তু শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই মহিলা থাকতে না চাইলে দুজনের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। ফলস্বরূপ 2013 থেকে তারা আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন। বিচারকদের অভিযোগ এই মহিলা তার বয়স্ক শাশুড়ির প্রতি তার স্বামীর দায়িত্ব পালন করতে বাধা দিয়েছে অথচ এই বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করছে পারিবারিক আদালত।