নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর গ্রামের বহু পুরাতন শয্যাবিশিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতাল বন্ধ, পরিদর্শনে সাংসদ জগন্নাথ সরকার
জগন্নাথ বাবু সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় দু বছর অতিক্রান্ত হলেও বর্তমানে ওই শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নতুন করে চালুর ব্যাপারে তৎপর হন।
মলয় দে নদীয়া:- বহু পুরাতন শয্যাবিশিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতাল ছিল নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর গ্রামে। একটি দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে আশির দশকে বন্ধ হয়ে যায় সেটি। জগন্নাথ বাবু সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় দু বছর অতিক্রান্ত হলেও বর্তমানে ওই শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নতুন করে চালুর ব্যাপারে তৎপর হন। গতকাল এবং আজ পরপর দুদিন পরিদর্শনে যান তিনি।
এলাকা স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এ বিষয়ে। ১০ শয্যা বিশিষ্ট এই গ্রামীন হাসপাতালে আগে, পাশের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাসকারী এবং গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরিষেবা মিলত ওই হাসপাতাল থেকে। এমনকি রোগীদের ছোটখাটো অপারেশন পরিষেবার কথাও জানা যায় ওই এলাকার প্রবীনদের কাছ থেকে। ২১ টি গ্রাম সংসদ যুক্ত ১৫ সদস্যের গয়েশপুর পঞ্চায়েতে প্রায় ৩০ হাজার অধিবাসী। এরা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল অথবা ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হেলথ সেন্টার এবং অধুনা দুই বছর আগে খোলা ১০ শয্যাবিশিষ্ট পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত বাগআঁচড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল।
যদিও এ বিষয়ে বিএমওএইচ পূজা মৈত্র জানান “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পাশের পঞ্চায়েত বাগআঁচড়া পিএইচ সি তে ১০ টি শয্যা বিশিষ্ট সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, এবং এই গয়েশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন নতুন বিল্ডিংয়ে বর্হিবিভাগভিত্তিক নিয়মিত চলে। এবং এই বাগআঁচড়া ডেলিভারি পয়েন্টের সুবাদে গয়েশপুর জিপিতে এখন হোম ডেলিভারির সংখ্যা নেই বললেই চলে।”
সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান,” সাংসদ কোটা থেকে অর্থ সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত! তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ। এ বিষয়ে অতি শীঘ্রই আমি কথা বলবো।”