নিউজরাজনীতিরাজ্য

“মোদি-অমিত শাহ, কুমড়োর ঘ‍্যাঁট খা!”, ‘লাভলি’ গান বাঁধলেন মদন দা, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

Advertisement
Advertisement

মদন মিত্র গান ধরেছেন, “কুমড়োগুলো ফুলো ফুলো অনেক টাকায় বিক্রি হল। সঙ্গে কিছু ঢেঁড়শ-মুলো, জিতবি বলে ভাবলি! ওয়ে লাভলি!” এমনই শব্দে। ইতিমধ্যে মদন মিত্রর গলায় এই গান ভাইরাল। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রকাশ্যে তাঁর মিউজিক ভিডিও ‘লাভলি’। লোকের মুখে মুখে এখন এই গান। আর এবার এই গানের ভিডিও অ্যালবাম প্রকাশ হল কাঁকিনাড়ায়। মদন মিত্র সেখানে দাঁড়িয়েই কাটলেন কুমড়ো। নাচলেনও কুমড়ো হাতে।

সেখানে উপস্থিত অনেককে খাওয়ালেন রান্না করা ঢেঁড়শ, কুমড়োর ঘ্যাঁট। আবার বিরক্তি দেখিয়ে ফেলেও দিলেন কিছুটা খেয়ে। তাঁর পরিষ্কার কথা, বিজেপি ঘ্যাঁট রান্না করছে পচা কুমড়ো, ঢেঁড়শ দিয়ে। মানুষ মুখে তুলবে না ওই ঘ্যাঁট। কাকদ্বীপের এক ভিখারি মিহির পানুয়া প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর গলায় গাওয়া গানে বাঁশিতে সুর দিলেন। তিনি উল্টোডাঙা স্টেশনের কাছে বাঁশি বাজিয়ে ভিক্ষা করেন। আপ্লুত শিল্পী সেখান থেকে একেবারে মদন মিত্রর গানে বাঁশি বাজাতে পেরে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে মদন মিত্রর এই গান তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলবদলুদের জন্য।

মদন মিত্র এদিনের মঞ্চ মাতালেন সবুজ টি শার্ট, কালো রোদচশমায়। তৃণমূল নেতা বলেন, “এই বিজেপির ক্যারেক্টার যত টাকা দিয়ে পারে কুমড়ো, ঢেঁড়শ, মুলো, পটল কেনো। বাজার থেকেও কিনছে। রাজনীতির ময়দান থেকেও। কুমড়োর ঘ্যাঁটটা মুখে নিয়ে দেখলাম। খাওয়া যাচ্ছে না। এটা তৈরি হয়েছে বিজেপির জন্য। ঘ্যাঁটের যে চচ্চড়ি হয়েছিল ওরা খাবে।” গানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “প্রথমবার গান গাইলাম। মানুষ পছন্দ করেছেন গানটা। মানুষ গানের ব্যঙ্গাত্মক অর্থও বুঝতে পারছেন। ভাল লাগছে এটাই।”

মদন এদিন পরিষ্কার করে দেন যে বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়া তাঁর কাছে আরও বেশি গুরুত্ব পাবে। বলেন, “এই মুহূর্তে ভাটপাড়া সবথেকে ঘেঁটে যাওয়া জায়গা। তাই এই ঘ্যাঁটের গান প্রকাশ করলাম এখান থেকেই। আমি প্রায়ই আসব। ভাটপাড়ায় তৃণমূলের ভোট আরও বাড়বে। তৃণমূল আরও বেশি মার্জিনে জিতবে।” জানান, ব্যবহার করা হয়েছে ‘ফেটে গেল, ফেঁসে গেল কালীরামের ঢোল’ গানের সুরও।

Related Articles