নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে চলেছে সবাই। দু’হাজার কুড়ির বিদায়ক্ষণে সুখবর দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানালেন পরের মাস থেকেই সম্ভবত ভারতে টিকাকরণ শুরু হবে। প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্বে এবং ভারত সরকার চাইছে পরবর্তী মাস থেকে দেশে টিকাকরণ এর কাজ শুরু করতে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে গোটা বিশ্ব ছিল বিধ্বস্ত ।
এরপর থেকে টিকা আবিষ্কারের পর থেকে মানুষের মনে অল্প হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে। পাশ্চাত্য দেশগুলির অনেকগুলোতেই টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ভারতবাসী ছিলো চিন্তায়, কবে আসবে ভারতের ভ্যাকসিন। সেই চিন্তার অবসান ঘটানোর জন্য অবশেষে সুখবর দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার গুজরাটের রাজকোটে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, “দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে অল্প অল্প করে, যদিও তা কোন চিরস্থায়ী সমাধান নয়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকাকরণ এর কাজ সেরে ফেলতে হবে। টিকা প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্বে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারতবাসীকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ভারতের প্রতিটি কোণায় টিকা পৌঁছে দেওয়াই হবে আমাদের কাজ। এতদিন আমি বলতাম ‘দাওয়াই নেহি তো ঢিলাই নেহি’ অর্থাৎ যত দিন ওষুধ না আসছে ততদিন নিয়ম শিথিল করা যাবে না। এখন আমি বলব ‘দাওয়াই ভি অর কাড়াই ভি’ অর্থাৎ শুধু ওষুধও থাকবে এবং সতর্কতাও।”
ভারতে টিকা প্রস্তুতির কাজ করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং এস্ট্রোজেনকার পরামর্শে এই ওষুধ বাজারে আনতে চলেছে ভারত বায়োটেক এবং এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ একসাথে। এই মূহুর্তের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলেই তা চলে যাবে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে। সেখান থেকে সবুজসংকেত মিললেই শুরু হবে টিকাকরণ এর কাজ। আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসের মধ্যে টিকাকরণের কাজ সম্ভব হবে।