দেশনিউজরাজনীতি

ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীকেই চায় দেশবাসী, ধারেকাছে নেই রাহুল

Advertisement
Advertisement

বেকারত্ব বাড়ছে করোনা আবহে। রীতিমতো সংকটে দেশের অর্থনীতি। নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে চিনের সঙ্গে সম্পর্কও। এমন পরিস্থিতিতেও কিন্তু জনপ্রিয়তা এতটুকু টাল খায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় এখনও তাঁকেই প্রধানমন্ত্রীর মসনদে দেখতে চায়। বাংলাও তাতে ব্যতিক্রম নয়। সেখানেও আকাশছোঁয়া মোদির জনপ্রিয়তা। অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত করছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা। এই সমীক্ষা করা হয়েছে সারা দেশের সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের উপরে।

নরেন্দ্র মোদিই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখনও সিংহভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ বলে বলছে ‘আইএএনএস-সি ভোটার স্টেট অফ দ্য নেশন’-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা। মোদির নেতৃত্বেই আত্মনির্ভর হতে পারে ভারত প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে বলে মনে করছেন দেশের ৫৯.২২ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাহুল গান্ধীর পক্ষে সায় কেবল ২৫.৬২ শতাংশ মানুষের। এর মধ্যে রাহুলের জনপ্রিয়তা রয়েছে কেবল কেরল ও তামিলনাড়ুতে। সেখানে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে যথাক্রমে ৫৪.২৮ ও ৪৮.২৬ শতাংশ মানুষ। প্রসঙ্গত, তিনি কেরলেরই সাংসদ। এছাড়া মোদি ও রাহুল দু’জনেরই জনপ্রিয়তা বেশ ধাক্কা খেয়েছে পাঞ্জাবে, তাঁদের দিকে মাত্র ২৯.৫ শতাংশ মানুষের রায়। বাকি কোথাও রাহুল ধারেকাছে নেই মোদির। অধিকাংশ রাজ্যেই রাহুলকে চাইছেন না ২০-২৫ শতাংশের বেশি মানুষ।

ওড়িশা ও হিমাচল প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আস্থা ‘ব্র্যান্ড মোদি’-তে। সেখানে মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ। দশটি রাজ্যে তাঁকেই পছন্দ গড়ে ৬৫ শতাংশ মানুষের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান রাজ্যের ৬২.১৯ শতাংশ মানুষ। রাহুলের দিকে রায় মাত্র ২৮.৩৮ শতাংশের। এমনকী, জম্মু ও কাশ্মীরে মোদির জনপ্রিয়তা যথেষ্ট ৩৭০ ধারা নিয়ে এত বিতর্কের পরেও। সেখানে ৪৬.৭৪ শতাংশ মানুষ মোদিকেই ও ৩৪.১৫ শতাংশ রাহুলকে সমর্থন করছেন। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জি-৭ সম্মেলনের জন্য। ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে আগামী ১১ থেকে ১৩ জুন ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীরাও থাকবেন ভারত ছাড়াও। সেখানে আলোচনার মূল ফোকাস থাকবে করোনাকে হারিয়ে পৃথিবীকে কী করে আরও সবুজ ও সুন্দর করা যায়।

Related Articles