আন্তর্জাতিকনিউজ

পৃথিবীর ছাদে রয়েছে চীনের অধিকার, বেজিংয়ের দাবিতে হইচই গোটা বিশ্বে

Advertisement
Advertisement

এ যেন গল্পের গরু গাছে তুলছে চিন। কখনো ভারত কখনো ভুটান যখন যেখানে ইচ্ছা সেখানে হাত বাড়াচ্ছে চিন। আর এবার পৃথিবীর ছাদ মনে পামির মালভূমির দিকে হাত বাড়াতে চাইছে চিন। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন আগ্রাসী মনোভাব বেড়ে যাচ্ছে চিনের।

সম্প্রতি চিনের ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, সেখানে তিনি বলছেন একটা সময় নাকি পুরো পামির এলাকা চিনের ছিল। তাই এবার পামিরের পার্বত্য ভূমি চিনের ফেরত পাওয়া উচিত। এ যেন গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। ইতিহাসবিদ ইয়ো ইয়াও লু প্রতিবেদনে আরও লিখেছেন,পামির বহু প্রাচীন একটি জায়গা। সেখানে সবার প্রথমে নাকি চিনের অধিকার ছিল। পামির বহু প্রাচীন একটি জায়গা। সেখানে সবার প্রথমে চিনের অধিকার ছিল। গত ১২৮ বছর ধরে পামিরের পার্বত্য অঞ্চল আর চিনের তত্ত্বাবধানে নেই। ১৯১১ সাল থেকে চিন যে নীতি নিয়েছে তাতে হারানো জমি পুনর্দখলের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে চিন বেশ কিছু হারানো জমি ফেরত পেয়েছে। তাই এবার সেই অঞ্চল ফিরে পেতে চায় চিন।

এদিকে চিনের ইতিহাসবিদের প্রতিবেদনের পর চিনের সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে। তারাও নেমে পড়েছে অতীত খুঁজে দেখতে। চিনের এই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবে ভয়ে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে তাজাকিস্তান। কারণ মধ্য এশিয়ার ছোট ও গরীব দেশ তাজাকিস্তান। অন্যদিকে তাজাকিস্তানের থেকে পামির মালভূমি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় চিন সরকারকে যথাসাধ্য সাহায্য করে চলেছে।

অন্যদিকে,২০১০ সালে চিন ও তাজাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী চিনকে ১১৫৮ বর্গ কিমি জায়গায় সঁপে দিতে হয়েছিল তাজাকিস্তানকে। চিন সেই চুক্তির পর তাজাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে তাশকুরগায় এয়ারপোর্ট নির্মাণের কাজও শুরু করে দিয়েছে। তবে, চিনের এই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে কড়া ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles