জালি নোট বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে রাতারাতি দু হাজার টাকার নোট নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কথায় আছে সর্ষের মধ্যে ভূত, তেমনই দু হাজার টাকার নোট হচ্ছে সব থেকে বেশি জাল, আর সেই কারণেই দু বছর ছাপা হয়নি দু হাজার টাকার নোট। এমনই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে লেনদেন কে প্রশস্ত করতে বাজারে দু হাজার টাকার নোট এনেছিল মোদি সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পরামর্শ এই নোট ছাপানো হয়েছিল। যত সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল, তাতে ২০২৯-২০ ও ২০২০-২১ সালে সেই সংখ্যক নোট আর ছাপানোর প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছিল।
২,৩৬২ মিলিয়ন ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল ৩০ মার্চ পর্যন্ত। এবং ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনযায়ী বাজারে ঘুরছে ২৪৯৯ মিলিয়ন সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট। লিখিত ভাবে এই তথ্য সামনে এনেছেন অর্থমন্ত্রী।
দু হাজার টাকার জন্ম লগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন এই নোটের আগমনী জাল নোটের সমস্যা দূরীকরণ হবে। তবে ঘটলো তার উল্টোটা, ২০১৮ এবং ২০১৯ এ জাল নোটের সংখ্যা দাড়িয়েছে যথাক্রমে ২.৬১ লক্ষ ও ২.১৯ লক্ষ। আর সেই কারণে গত দু বছর ধরে থেমে গেছে দু হাজার টাকা ছাপানো, এখন এই পরিস্থিতিতে জাল নোট বন্ধ করতে দু হাজার টাকার নোট বন্ধ হতে পারে কিনা সেটা নিয়েও আছে সংশয়।