নিউজবিনোদন
Trending

বড় ধাক্কা খেল রিয়া, পুনরায় জেলেই ঠাই হল সুশান্তের প্রেমিকার

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি সুশান্ত মৃত্যু রহস্যে ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক চক্রের হদিশ পায় ইডি। আর তাতেই ফেঁসে যায় সুশান্ত বান্ধবী রিয়া ও তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই মাদক চক্রে যুক্ত থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছে রিয়া-সৌভিক। বৃহস্পতিবার জামিনের আশায় থাকলেও সেই আশায় জল ঢেলে জামিন পেলেন না রিয়া ও সৌভিক।

বলিউড হার্টথ্রব সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই একাধিকবার অভিনেতার মৃত্যুর জন্য আঙ্গুল উঠেছে তারই বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। এসবের মাঝেই মাদক চক্রের হদিশ পাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারও রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে তদন্তকারীরা। এরপরেই এনসিবির জেরার মুখে পড়ে রিয়া স্বীকার করেন সে ড্রাগ নিতেন। এমনকি মাদক সেবন করতেন নিয়মিত। আর তারপরই সেদিন গ্রেফতার করা হয় রিয়াকে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর গ্রেফতার হন রিয়া। NDPS আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় রিয়া চক্রবর্তী তাঁর দোষ কবুল করেছেন বলে সূত্রের খবর। ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় অভিনেত্রীর। বাইকুলা জেলে রাখা হয় তাঁকে। সেখানে মাটিতে চাটাই পেতে রাত কাটান রিয়া।

এরই মাঝে রিয়া ও সৌভিকের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে প্রচুর চেষ্টা করেন প্রমান করার যে রিয়ার মাদক চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কোনও যোগ ছিল না। তাদের উকিল সতীশ মানশিন্ডে জানান, ‘রিয়াকে জোর করে মাদক সেবনের কথা স্বীকার করতে বাধ্য করেছে এনসিবি। তিনি মাদক নিতেন না’। কিন্তু এ কথা মানতে নারাজ এনসিবি। রিয়া নিজেই স্বীকার করেছেন দাবি করেছে এনসিবি। দু পক্ষের তর্ক শুনে আদালত ১১ সেপ্টেম্বর বেল মনজুর করা হলে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে ঠিক করে।

প্রসঙ্গত,এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। সেই চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী গত শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর সেই ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই। সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles