বর্তমানে চিনের ব্যবহারে যেন তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছে সবাই। ইতিমধ্যেই নানান বিষয় চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত তুঙ্গে। শুধু ভারত নয় অন্যান্য দেশের সঙ্গেও নানান সময়ে চিনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাবের অভিযোগ উঠেছে। এরই মাঝে বিতর্ক উস্কে এবার ভূটানেও তাদের জমি আছে বলে দাবি জানাল চিন।
কিছুদিন আগেই আমেরিকা অভিযোগ তুলেছিল, গোটা বিশ্বে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চাইছে চিন। এখনই চিনের এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। অন্যদিকে মে মাস থেকেই লাদাখ নিয়ে ভারত-চিনের বিরোধ তুঙ্গে। সেই উত্তেজনা এখনো টকবগে। এরই মধ্যে ফের অদ্ভুত দাবি চিনের। ভূটানের সাকতেং অভয়ারণ্য নাকি চিনের এলাকা। ফলে ওই অঞ্চলে যাবতীয় বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তারা।
এরপরেই রাগে ফুঁসতে থাকে আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো জানান, ‘ ভারতের পর এবার ভূটানে নজর চিনের। গোটা বিশ্বকে একজোট হয়ে চিনের এই উদ্দেশ্য রুখতে হবে। ক্ষমতা বাড়ানোর খেলায় নেমেছে বেজিং। ১৯৮৯ থেকে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশে বার্তা দিচ্ছে চিন। শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর চিনের আগ্রাসী নীতি আরও বেড়েছে’। পম্পেয়ো আরো বলেন, ‘ওদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। চিন আসলে সবার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ওরা একের পর এক দেশে নিজেদের মতো করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ভারতের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে’।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘর্ষে শহীদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। আর তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশ। আর তারপরেই ১০৬টি চিনা অ্যাপ ব্যান করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ সঠিক বলে জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো।