ভারত ও চীনের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে যুদ্ধের সম্ভাবনার কথাই সামনে আসছে। যদিও দুই দেশেই যুদ্ধ করতে চায় না। এমনই মুখে দাবি করছে দুই দেশ বারবার বৈঠক করা সত্বেও কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি। বৃহস্পতিবারও মস্কোয় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, তাতেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। তবে দুই দেশই আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছে। এমনকি বৃহস্পতিবার আলোচনার পরেও সীমান্তের পরিবেশ বদলায়নি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেদিনের বৈঠকের পরও লাদাখে চিন আরও বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েন করছে। প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তে ফিঙ্গার থ্রি এলাকা দখলের জন্যসেনা জমায়েত করতে শুরু করেছে চীন। গত কয়েকদিনে কৌশল করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়চূড়ো এবং উঁচু অংশের দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনারা। আর এবার সেই চেষ্টাই শুরু করেছে চীন। আপাতত দুই দেশ মুখে দাবি করছে তারা যুদ্ধ চায় না৷ কিন্তু বাস্তবে সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আর এই সেনা না পিছোনোর কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, আগামী মাসেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ প্লেনাম শুরু হওয়ার কথা, সেখানে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপনের ঘোষণা করতে পারেন জিনপিং। আর এইসময় দলের শতবর্ষে দেশবাসীর সামনে নিজেকে এবং চিনকে প্রবল ক্ষমতাবান প্রমাণ করার দায়ও রয়েছে তাঁর উপর। তাই ভারতের কাছে ও দেশের মানুষের কাছে নিজেদের শক্তিশালী করতে চাইছেন চীনের প্রেসিডেন্ট, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।