২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বুদ্ধের দেখানো পথকেই ভরসা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধর্মচক্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বার্তা দিয়েছেন যে বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে গৌতম বুদ্ধের দেখানো পথই শ্রেয়। গুরু পূর্ণিমার দিন ধর্মচক্র দিবসে এমনই বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন গৌতম বুদ্ধের বাণী বর্তমান সময়ে যেমন প্রাসঙ্গিক তেমনই ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। শুধু শনিবারে নয় শুক্রবারেও তিনি গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করেছিলেন। শুক্রবার লেহতে দাঁড়িয়েও তিনি একই কথা বলেন। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে এর পেছনেও রয়েছে তার কূটনীতি।
The eight-fold path of Lord Buddha shows the way towards the well-being of many societies and nations. It highlights the importance of compassion and kindness. The teachings of Lord Buddha celebrate simplicity both in thought and action: PM Narendra Modi https://t.co/Ttaj0yWYGl
— ANI (@ANI) July 4, 2020
এদিন তিনি বলেন যে ২১শতকের চ্যালেঞ্জ এর স্থায়ী মোকাবিলা করতে হলে গৌতম বুদ্ধের অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করতে হবে। কেন্দ্র সরকার উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসাবে ঘোষনা করেছে সে কথা তিনি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন। যেহেতু কুশিনগর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেই কারনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন সুস্থ দেশ ও জাতি গড়ে তুলতে গৌতম বুদ্ধের মন্ত্র অবশ্যই মেনে চলা উচিত। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই চিন্তাধারার পেছনে কুটনীতি রয়েছে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক মহল।
Today the world fights extra-ordinary challenges. To these challenges, lasting solutions can come from the ideals of Lord Buddha. They were relevant in the past. They are relevant in the present. And, they will remain relevant in the future: PM Modi pic.twitter.com/ZsrfjUeZK2
— ANI (@ANI) July 4, 2020
রাজনৈতিক মহল দাবি করেছে যে ভোটের কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদেরকে কাছে টানতে চাইছেন। সেই কারণেই তিনি লাদাখে দাড়িয়ে বলেছেন বুদ্ধের দেখানো শান্তির পথ বেছে নিতে। তবে অনেকে মনে করেন যে চীন এবং তিব্বতকে তিনি ঘুরিয়ে বার্তা দিয়েছেন।