করোনার কারনে গোটাদেশ জুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আর এই করোনাই পাল্টে দিলো রেলের চিন্তাভাবনা। ট্রেনে প্রথমে থাকতো ‘ফার্স্ট এইড বক্স’, এবার থেকে ট্রেনে রাখা থাকবে ‘লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স’। ট্রেনে যাত্রার সময় বহু যাত্রীই অসুস্থ হয়ে পড়ে, আর সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই এই ব্যবস্থা করলো রেল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি, করোনার কারনে চালু করা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যার পরেই নড়েচড়ে বসলো ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, এই শনিবার পাটনা – নিউদিল্লি রাজধানীতে এক্সপ্রেসে এই ‘লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স’ এর প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে।
এই বক্সে কি কি থাকবে? এই বক্সে থাকবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার বেশকিছু যন্ত্রপাতি। থাকবে স্টেথোস্কোপ, সুগার মাপার যন্ত্র, পালস মিটার, ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্র, থার্মোমিটার এর মতো যন্ত্রপাতি। এছাড়াও ওই বাক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার যন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে, প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধও থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে হার্ট, হাঁপানি, বমি, মাথা ব্যথা, জ্বর এর মতো বেশকিছু ওষুধ। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত যাত্রীরা ক্রনিক রোগে আক্রান্ত, তাঁরা তাদের প্রেসক্রিপশন দেখালে, সেই অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হবে।
এই ড্রাগ বক্স নিয়ে DRM সুনীল কুমার জানিয়েছেন, “ট্রেনে যাত্রাকালীন অবস্থায় প্রায় প্রতি বছর ৬০০ মানুষ চিকিৎসার সাহায্য চান। এই সমস্যা এড়াতে প্রথম পাটনা স্টেশনকে বেছে নেওয়া হায়েছে। দানাপুর ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ছাড়া ট্রেনগুলিতে এই সুবিধা মিলবে। এই বাক্স প্যান্ট্রি কারে ক্যাটারিং ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে থাকবে।”
প্রসঙ্গত, করোনার জেরে চালানো শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে অনেক ব্যক্তিই যাত্রাকালীন অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেকের আবার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এই রকম অনেক কারনে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে। তার কারনেই এই ‘লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স’ এর ব্যবস্থা করেছে রেল।