দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে। গত ১ লা জুন থেকেই মোটামুটি সকল কিছুর ওপর লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আর তারপরেই দেশে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটতে থাকে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী মহারাষ্ট্র সবার প্রথমে রয়েছে। তারপরেই রয়েছে গুজরাট ও তামিলনাড়ু। এদিকে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও খুব একটা পিছিয়ে নেয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে গত ৪৮ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১০০০ বেশি পেরিয়ে গেছে। সবে মিলে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজারের বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাটাও ৪০০ ছুঁই ছুঁই।
আর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গতকাল নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেয় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন চলবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত ধর্মীয় স্থানে ১০ জন নয়, একসঙ্গে ২৫ অংশ নিতে পারবে। এছাড়াও যে কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেও ২৫ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ ৩০ মিনিট শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে অফিস যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। মেট্রো ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এবং রাস্তায় বাসের পরিমান কম হওয়ায়, অনেকেই হয়রানিতে পড়ছে। তাই সেখান থেকে বাঁচতে তারা সাইকেল ব্যবহার করছে। কিন্তু কলকাতার রাস্তায় জ্যাম ট্রাফিকে সাইকেল নিয়ে ভিড় জমা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খুব উদ্বিগ্ন। তাই তিনি এবিষয়ে জানিয়েছেন, এই ভিড় এড়াতে সাইকেল চালকরা কোন রাস্তা দিয়ে যাবে, সেবিষয়ে দায়িত্ব নেবে প্রশাসন। তারা যেটা ভালো বুঝবে সেটাই করবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “অফিসে একটু দেরি হলে তাতে কোন সমস্যা নেই, মানুষের জীবন সুরক্ষিত রাখাটা বেশি জরুরি।”