দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে যেভাবে মহামারী সৃষ্টি করেছে তাতে দিশেহারা বিশ্বের মানুষ। বিশ্বকে নিয়ে এই ভাইরাস যেন মরণ খেলায় মেতে উঠেছে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী ওই দেশে ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ১১১ জন মানুষ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। ওই দেশের ইষ্টারের পবিত্র দিনের খুশির আনন্দ এক নিমিষে ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ালো ২০ হাজার। তবে চীনকে দেখে একটু স্বস্তি পেয়েছে পশ্চিম ইউরোপের মানুষেরা। চীনে লাগাতার লকডাউন থাকাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সক্ষম হয়েছে চীন। তবে প্রচুর চেষ্টা করেও সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না করোনা ভাইরাসকে।
ইতিমধ্যে ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৮ জনের এবং ফ্রান্সে এই ভাইরাস ১৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। দেশ এমন দুর্দিন অবস্থার মধ্যে থাকায় ইষ্টারের এই খুশির দিনেও মুখ ভার গোটা বিশ্বের। সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ২০০ কোটি খ্রিস্টান ধর্মালম্বী মানুষ বাস করে। তাদের পবিত্র ইষ্টার এবার গৃহবন্দি অবস্থাতেই কাটছে। বিশ্বের সবথেকে বড় চার্চ সেন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকা থেকে ইষ্টার পালন করলেন পোপ। তিনি বললেন, “আমরা বারবার বলে আসছি সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা হাল ছাড়ব না। আমরা চেষ্টা করে যাব এবং আমরা পারব।”
এবারের ইষ্টার যেন একেবারে অন্যরকম। কোন কেক নেই, কোন আলো নেই। অনলাইনে ‘ড্রাইভ ইন’ এর মাধ্যমে পালন হচ্ছে ইষ্টার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অনলাইনে পালন করলেন ইষ্টার। তবে এত সব কিছুর মাঝেও একটি খুশির খবর হলো ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সারাবিশ্বে ১৭ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি। আকাশ জুড়ে এখন শুধু শোকের ছায়া।