করোনা আবহের মাঝেই চিন আমেরিকা সংঘাত তুঙ্গে। দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছে উত্তেজনা। এরই মাঝে আমেরিকার এক সামরিক শক্তি সম্পন্ন জাহাজ সাংহাইয়ের থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে রয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার এক লড়াকু বিমান তাইওয়ানের এয়ারবেস থেকে উড়ে যায় আর দেখতে দেখতে সাংহাইয়ের পাশে পৌঁছেও যায়। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে একেবারে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে আমেরিকা।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, লাগাতার ১২ দিন ধরে আমেরিকার সেনার লড়াকু বিমান চিনের আশেপাশে উড়ে চলছে। মনে করা হচ্ছে,আমেরিকা এবার সাউথ চাইনা সমুদ্রে চিনের থেকে এগিয়ে সাংহাই আর বেজিংকে নিজেদের টার্গেট হিসেবে সেট করে নিয়েছে। কিছুদিন আগেই আমেরিকার নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে দীর্ঘ দূরত্বে আঘাত হানতে ছয়টি বোম্বার বিমানকে সাউথ চাইনা সমুদ্রের পাশে উড়িয়েছিল। যদিও তাতে চিন প্রবল আপত্তি জানায়। কিন্তু চিনের সেই আপত্তি কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আমেরিকা চিনের এলাকায় নিজেদের আধিপত্য স্থাপন চালিয়ে যায়।
আমেরিকা চিন দুই দেশ ক্রমাগত লড়াকু হয়ে উঠছে। কূটনৈতিক স্তর থেকে সৈন্য শক্তি প্রদর্শন সবকিছুতেই একে অন্যকে টেক্কা দিতে চাইছে। আর এবার আমেরিকার এক সামরিক শক্তি সম্পন্ন জাহাজ সাংহাইয়ের থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে আছে। আমেরিকার ওই লড়াকু বিমান তাইওয়ানের এয়ারবেস থেকে উড়ে যায় আর দেখতে দেখতে সাংহাইয়ের পাশে পৌঁছে যায়। সকলের কাছে পরিষ্কার এর মানে একটাই আমেরিকা চিনকে এটাই বোঝাচ্ছে যে, শুধরে যাও নাহলে ঘরে ঢুকে মারব।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আক্রমনাত্বক মনোভাব নিয়ে চিনকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এবার তাঁদের বদলাতে হবে। লাগাতার ১২ দিন ধরে আমেরিকার সেনার লড়াকু বিমান চীনের আশেপাশে উড়ে চলছে। বলে রাখা ভালো,আমেরিকান নেভির P-8A সাংহাইয়ের পাশে অপারেট করছে। P-8A সাংহাইয়ের থেকে মাত্র ৭৬.৫ কিমি দূরে আছে। আর এর সাথে সাথে আমেরিকার এক লড়াকু বিমান চীনের সীমান্তে দাখিল হয়ে গেছে। সাংহাই থেকে মাত্র ১০৬ কিমি দূরে আমেরিকার এই লড়াকু বিমান ঘোরাফেরা করেছে। US P-8A একটি অ্যান্টি সাবমেরিন এয়ারক্র্যাফট হিসেবে পরিচিত।