SIP: কেরিয়ার শুরুর প্রথম দিক থেকেই বিনিয়োগ যদি করা যায় শুরু তাহলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কিন্তু এই একটি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আসলে আর্থিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে ঠিক তত তাড়াতাড়ি আর্থিক লক্ষ্য গুলি হবে পূরণ। আজকাল পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট না করে তরুণ প্রজন্ম বেছে বিচ্ছেন মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) কিংবা SIP-র দিকে।
বিগত বেশ কয়েক বছরে SIP-র জনপ্রিয়তা বেড়েছে ব্যাপক। প্রত্যেক মাসে সামান্য কিছু টাকা জমা করেই লাভের মুখ দেখা যায় এই বিনিয়োগে। তবে এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা সবচেয়ে সেরা অপশন। প্রত্যেক মাসে মাত্র 10 হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই সহজেই হওয়া যাবে 10 কোটি টাকার মালিক। আসলে এই প্রকল্পে আনুমানিক 15 শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। ফলে কোটিপতি হওয়ার পথ খুব সহজ হয়ে যায়। মিউচুয়াল ফান্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে মাত্র 10 হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই হওয়া যাবে কোটিপতি।
SIP মূলত দু ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল সেটআপ SIP এবং অন্যটি হলো সাধারণ SIP। এই দুই পদ্ধতির মধ্যে খুব একটা বেশি পার্থক্য নেই।
10 হাজার টাকার SIP-
প্রত্যেক মাসে 10 হাজার যদি কোনো ব্যক্তি সাধারন SIP-তে বিনিয়োগ করেন তাহলে 38 বছর 7 মাস পরই তিনি হাতে পেয়ে যাবেন 10 কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রতি বছর SIP-তে 5 শতাংশ সেটাপ হলে 10 কোটি টাকা জমাতে সময় লাগবে 35 বছর 1 মাস।
20 হাজার টাকার SIP-
সেটআপ ছাড়া যদি 20 হাজার টাকা কোনো ব্যক্তি SIP-তে বিনিয়োগ করেন তাহলে 10 কোটি টাকা জমতে সময় লাগবে 32 বছর 11 মাস। ঠিক একই ভাবে সেটআপ সহ এই বিনিয়োগ করলে 10 কোটি টাকা জমতে সময় লাগবে 29 বছর 8 মাস।
30 হাজার টাকার SIP-
সাধারণ SIP তে প্রত্যেক মাসে 30 হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে 10 কোটি টাকা জমাতে সময় লাগবে 29 বছর 7 মাস। অন্যদিকে 5 শতাংশ সেটআপ সহ 30 হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে 10 কোটি টাকা জমাতে সময় লাগবে 26 বছর 6 মাস।
50 হাজার টাকার SIP-
সাধারণ SIP-তে প্রত্যেক মাসে যদি কোনো ব্যক্তি 50 হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে 10 কোটি টাকা জমতে সময় লাগবে 25 বছর 6 মাস। অন্যদিকে 5 শতাংশ সেটআপ সহ 50 হাজার টাকার SIP-তে 10 কোটি টাকা জমতে সময় লাগবে 22 বছর 9 মাস।