আন্তর্জাতিকনিউজ

মোদিকে ‘আনফলো’ করলো ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ! কিসের ইঙ্গিত দিলো আমেরিকা, শুরু জল্পনা

Advertisement
Advertisement

করোন ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে আমেরিকায় সেই ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানায়। মোদি সেইমতো করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকাসহ আরো কয়েকটি দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মোদির এইরূপ বন্ধুসুলভ আচরণে মোদিকে পরম বন্ধু হিসেবে কাছে টেনে নিয়েছিল ট্রাম্প। মার্চের শুরুর দিকে নরেন্দ্র মোদীকে ফলো করা শুরু করেছিল ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ। কিন্তু এরপর তিন সপ্তাহের মধ্যে মোদিকে পুনরায় আনফলো করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউজের ফলোডের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অন্যান্য ভারতীয় অ্যাকাউন্টগুলিও।

ভারতীয় অ্যাকাউন্ট গুলির মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস ও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে হোয়াইট হাউস কেন মোদিকে আনফলো করলো? কেন তিন সপ্তাহের বেশি বন্ধুত্ব স্থায়ী হলো না? কি এমন ঘটেছে আবার? এই নিয়ে ভিতরে ভিতরে প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রীয় রাজনীতি মহলে। মোদীদের সংযোজনের মধ্য দিয়ে টুইটারে হোয়াইট হাউজেরে ফলোডের তালিকায় ছিল মোট ১৯টি অ্যাকাউন্ট।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আনফলো হয়ে এখন তা কমে ১৩ তে এসে ঠেকেছে। অ্যাকাউন্টগুলিকে ফলো করার কোনও কারণ যেমন এর আগে হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি, তেমনই এবার তাদের আনফলো করার কারণও জানায়নি হোয়াইট হাউস। এই ঘটনা ঘটায় ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেছে কিনা তা জানতে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles