করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে তারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও দেশ ও দশের স্বার্থে ফ্রন্টলাইনে কাজ করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক মানুষের একমাত্র ভরসা চিকিৎসকরাই। কিন্তু তাদেরই যদি বেতনের অভাবে পেটে টান পড়ে? অবিশ্বাস্য হলেই এরকমটাই হয়েছে। একদিকে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা অপরদিকে অমিল স্বাস্থ্যকর্মী এমনই পরিস্থিতিতে পেট চালানোর দায়ে চিকিৎসা ছেড়ে অটো চালাচ্ছেন 53 বছরের এক চিকিৎসক। গত 15 মাস ধরে বন্ধ তার বেতন পেটের টানে এখন অটো ভরসা।
ঘটনাটি বল্লারী জেলার। সেখানে গত 24 বছর ধরে স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের অধীনে চাইল্ড হেলথ অফিসার পদে কর্মরত রবীন্দ্রনাথ এমএইচ। তিনি জানিয়েছেন ২০১৮ সালে এক আইএএস অফিসারকে অন্যত্র পোস্টিং পাইয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য করেননি তিনি। তখনি চটে যান ওই অফিসার। বন্ধ হয়ে যায় তার বেতন।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে অন্যত্র পোস্টিঙ না হওয়ায় আইএএস অফিসার বল্লালি জেলা পঞ্চায়েত এর সিইও হিসেবে কাজ শুরু করেন। তারপর স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ নিয়ে ওরা একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি বের করে। আর সেই ত্রুটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই আইএএস অফিসার তার নাম ঢুকিয়ে দেন।
কিন্তু তিনি যে সেই ভুলের জন্য দায়ী ছিলেন না তা প্রমাণও করেন। গতবছর তাকে বরখাস্ত করা হলে কর্ণাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন সেখানে তাকে পুনরায় বহন করার দায় দিলেও তা করা হয়নি। এতদিন সঞ্চিত অর্থ দিয়েই সংসার চালাচ্ছিলেন বর্তমানে তার আর কোন গতি নেই। আয় না থাকায় প্রিয়জনদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাতে বর্তমানে হিমশিম অবস্থা তার। তাই বর্তমানে বাধ্য হয়ে অটো চালাচ্ছেন তিনি।