ধুমধাম করে বসেছিল বিয়ের আসর, সমস্ত প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছিল। বরের কথামতো তাকে দু লাখ টাকা পণের নগদ এবং একটি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছিল, তবে বিয়ের ঠিক আগেই জানা যায় বর পালিয়ে গেছে নিজের প্রেমিকার সাথে। আর তা শোনার পরেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কুমারগ্রাম থানার দুর্গাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা কনের বাবা রাসু দাসের মাথায়। কান্নায় ভেঙে পড়ে কনে পাপিয়া দাস। আর ঠিক সেই সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে দুতের মত এগিয়ে আসেন কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকার। নিজের উদ্যোগে দেন পাপিয়ার বিয়ে।
আলিপুরদুয়ার নিবাসী মিন্টু বর্মন এর সাথে দুর্গাবাড়ি এলাকায় বসবাসকারী রাসু দাসের কন্যা পাপিয়ার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তবে বিয়ের আগে দু লক্ষ টাকা পণ এবং একটি মোটর বাইক ও সোনা দানা দাবি করে রাজ্য পুলিশের হোম গার্ডে কর্মরত মিন্টু বর্মন। সমস্ত পণের টাকা দিয়ে দেওয়ার পরেও বিয়ে ঠিক আগে জানা যায় তিনি নিজের প্রেমিকাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন।
আর তারপরেই কনের বাড়ির লোক শরণাপন্ন হয় কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব বাবুর কাছে, বাসুদেব বাবু এগিয়ে আসেন কনের পরিবারের পাশে, নিজে কথা বলে কুমারগ্রাম থানার কর্মরত সিভিক পুলিশ ধীরেন রায়কে রাজি করিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেন পাপিয়ার সাথে, নবদম্পতিকে আশীর্বাদও করেন তিনি। বাসুদেব বাবু শুধু পাপিয়ার বিয়ে দিয়েই থেমে থাকেনি মিন্টু বর্মন এর বাড়ি থেকে তার নেওয়া দুই লক্ষ টাকার পণ এবং মোটরসাইকেলটি কেও উদ্ধার করে রাতে।
বাসুদেব বাবু এই উপকারে কৃতজ্ঞ কনের সকল পরিজন। অবশ্য, বাসুদেব বাবু মনে করছেন, মানুষের এমন বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো তার কর্তব্য।