দেশনিউজ

ভারতে একদম ফ্রিতে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন? স্বস্তির খবর দিলো সেরাম ইনস্টিটিউট

Advertisement
Advertisement

করোনা আতঙ্কে যখন ভুগছে বিশ্ববাসী, ঠিক সেই সময়ে বিশ্ববাসী তথা দেশবাসীর মুখে এক টুকরো হাসি ফুটিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে অভূতপূর্ব সফলতা মিলেছে। এখন শুধু প্রতীক্ষা ভ্যাকসিনটি তৈরি করে বাজারে আনার। তবে, একটা প্রশ্ন পিছু ছাড়ছেনা বিশ্ববাসীর। ভ্যাকসিনটি বাজারে আসলেও তা আদোতেও কি সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার মধ্যে থাকবে! সেইসব প্রশ্নের নিরসন ঘটিয়ে সাধারণের মনে ফের আশার আলো প্রজ্জ্বলন করল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কর্ণধার।

চোখে না দেখা গেলেও অদৃশ্য ভাইরাস করোনা যে কতটা সাংঘাতিক তা এতদিনে উপলব্ধি করতে পেরেছে বিশ্ববাসী। বর্তমানে গোটা বিশ্বের একটাই লক্ষ্য করোনা হাত থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্ত করা। শুধু বিশ্ব নয় বিশ্ব তথা দেশজুড়ে সে কাজ করতে ময়দানে নেমেছে প্রতিটি সংস্থা। পিছিয়ে নেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও। যদিও,‘ভ্যাকসিনটি’র প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল আশানুরূপ ফল দিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, বলে রাখা ভালো অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এই ভারতীয় সংস্থাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বিনিয়োগ করেছিল। আর তাই টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।

‘ভ্যাকসিনটি’র প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে অভূতপূর্ব সাফল্যের মুখ দেখেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর শুধু অপেক্ষা দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলের। আশানুরূপ ফল পেলেই সময় নষ্ট না করেই ভ্যাকসিন তৈরীর কাজ শুরু করবে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কিন্তু বর্তমানে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। যদি এই ভ্যাকসিন বাজারে আসে তবে কি সেই ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ্য থাকবে সাধারণ মানুষের? আর এই প্রশ্নে বেশ চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সাধারণ মানুষের কপালে! তবে, চিন্তার কারন নেই, সেই সমস্ত চিন্তার নিরসন ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সাফল্যের উত্তর দিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা।

এই প্রসঙ্গে আদর পুনাওয়ালা জানান,’আমার মনে হয় সাধারণ মানুষকে টাকা দিয়ে টিকা কিনতে হবেনা। সরকার তা কিনে নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে বিলি করবে। যতটা সম্ভব কম দামে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। মোটামুটি এক হাজার টাকা বা তারও কিছু কম দামে এই প্রতিষেধক তৈরি করার চেষ্টা করছি’। এমনকি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্ণধার এও বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে এটা গোটা বিশ্বের সমস্যা। তাই গোটা বিশ্বের সুরক্ষাটাও দরকার। সব ঠিক থাকলে নভেম্বরেই ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ প্রতিষেধক চলে আসবে। তারমধ্যে ৫০ শতাংশ ভারতীয় বাজারের জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৫০ শতাংশ বাকি বিশ্বের জন্য’।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles