নিউজরাজনীতিরাজ্য

বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রীর ঠিকানায় ১ লাখ ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা চিঠি পাঠাবে BJP

Advertisement
Advertisement

বিজেপি ১ লাখ ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা চিঠি পাঠাবে মমতাকে। সামনেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে রাজ্য-রাজনীতির আবহাওয়াকে অনেকটাই উসকে দিয়েছে নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া ঘটা ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’ কাণ্ড। এবার আবার বিজেপি মুখপাত্র তেজিন্দর সিং বাগ্গা বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন।

তেজিন্দর সিং বাগ্গা বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে বলেছেন, তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করছেন মমতা দিদির নাম এবং ঠিকানা লেখা পোস্টকার্ড। সকলে ‘জয় শ্রী রাম’ এবং নিজেদের নাম লিখে পাঠিয়ে দেবে সেই কার্ডগুলি। পাশপাশি তিনি সকলকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানিয়েছেন টুইট করে। তিনি আরও জানান, সকলেই নিজেদের নিকটবর্তী পোস্ট অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহ করে সেখানে ‘জয় শ্রী রাম’ লিখে মমতা দিদির ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানায় এই কার্ড পাঠাতে শুরু করেছেন একাধিক দলীয় কর্মী সমর্থক।

এই কর্মসূচির কারণ স্বরূপ তেজিন্দর জানান, মমতা দিদি বিরক্ত হন ‘জয় শ্রী রাম’ শুনলেই। আমরা যদি ইতিহাসকে ফিরে দেখি, তাহলে দেখব, তিনি দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ করে দিয়েছিলেন অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য। তিনি বারবার হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেন একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে। তেজিন্দর ভিক্টোরিয়ায় জয় শ্রী রাম স্লোগান বিতর্কের প্রসঙ্গে বলেন, ভিক্টোরিয়ায় উপস্থিত সাধারণ দর্শক এই স্লোগান দিয়েছেন উৎসাহিত হয়ে। এ কাজ করেননি কোনও বিজেপি কর্মী বা নেতারা। বক্তব্য রাখা উচিত ছিল মমতা দিদির, তাঁকে কেন্দ্র আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এভাবে আসলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকেই অপমান করলেন দিদি বয়কট করে বক্তব্য না রেখে। 

প্রসঙ্গত, নেতাজি স্মরণ অনুষ্ঠানে দর্শকাসন থেকে শুনতে পাওয়া যায় জয় শ্রী রাম ধ্বনি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে ওঠার সময়। আর তাতেই মমতা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।  তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের মর্যাদা রাখা উচিত। কোনও  রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয় এটা। আমি তো ঋণী যে, কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন নেতাজির জন্মদিনে। কিন্তু কাউকে অপমান করা যায় না আমন্ত্রণ করে। প্রতিবাদ জানাই এই ঘটনার।” এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ‘জয় হিন্দ’ বলে সিটে বসে পড়েন। এরপর ফিরহাদ থেকে মহুয়া মিত্র, নুসরত জাহানরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং রবিবার গড়িয়াহাটে  ‘জয় বাংলা’ লিখে ধরনায় নামেন কবীর সুমন সহ সায়নীরাও প্রতিবাদ স্বরূপ।

Related Articles