ইসকনের হেডকোয়ার্টার মায়াপুরে। তাই মায়াপুর জুড়ে রয়েছে কৃষ্ণ বন্দনার বহু স্থান। বিভিন্ন জায়গায় শোনা যায় শ্রীকৃষ্ণের ভজন আর সেই মায়াপুরেই এবার তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির একসঙ্গে বহু ভক্ত প্রার্থনা করতে পারবেন সেখানে।
ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে সেই মন্দিরের পুজারি ফ্লোর, স্থাপিত হয়েছে ভগবানের মূর্তি ও চলছে পূজার্চনা। কিন্তু বিশ্বের সবথেকে বড় মন্দির সম্পূর্ণভাবে ভক্তদের দর্শনের জন্য খুলতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে। 2022 এ খুলে যাবে সেই মন্দির। মন্দিরের প্রত্যেকটা কোনায় থাকবে ভাস্কর্যের নিদর্শন রয়েছে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের মূর্তি।
প্রায় বছর দশেক আগেই এই মন্দির তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে আর দিনে দিনে তা আরো উন্নত হচ্ছে। 1 লক্ষ স্কয়ার ফুট জুড়ে তৈরি হচ্ছে সেই মন্দির। বেদিক প্লানেটারিয়াম নামের ওই মন্দির শুধুমাত্র বিশ্বের সব থেকে বড় নয়, এটি হয়ে উঠবে আধুনিককালের এক প্রাসাদ। বিশাল বড় বড় ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো চলছে এই মন্দির। আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করে হবে প্রার্থনা সম্প্রচার।
প্রত্যেকটি ফ্লোরের আকার হবে এক লক্ষ স্কয়ার ফুট আর এই মন্দিরের গম্বুজ হবে বিশ্বের সবথেকে বড় একেবারে আলাদা। 380 ফুট উঁচু সেই মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নীল রংয়ের বলিভিয়ান মার্বেল। এতে রয়েছে পাশ্চাত্য স্থাপত্যেরও প্রভাব। বেদের সংস্কৃতি গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে মন্দির। কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সদাভূজ বলেন প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিশ্রন এ মন্দির তৈরি হচ্ছে ভিয়েতনাম থেকে মার্বেল আনা হয়েছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা।