করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জেরবার গোটাদেশ। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছুঁতে আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। এরমধ্যেই নতুন রুপে ধরা দিলো করোনা ভাইরাস। কোনও রকম উপসর্গ ছাড়াই হঠাৎ করেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। স্বল্প উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর পরীক্ষা করে করোনা ধরা পড়াই মৃত্যু হচ্ছে বেশকিছু মানুষের। এক্ষেত্রে আক্রান্তের চিকিত্সা করার কোনো ধরনের সুযোগই পাচ্ছেন না ডাক্তররা।
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা অনেক বেশি। বিজয়ওয়াড়ার এক চিকিত্সকের এই ভাবেই মৃত্যু হয়েছে। হঠাত্ করেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এক্সরে করা হয়, এক্সরে তে তেমন কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। তারপরেই তাকে করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় এই চিকিৎসকের। ঠিক এইভাবেই অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। অনুমান করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি অন্তত ২০০ জনকে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত করেছেন। করোনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আধঘণ্টা পরেই এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
এই ধরনের উপসর্গহীনের ফলে রক্তে থাকা অক্সিজেনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্ধ্রপ্রদেশের সেভেন হিলস হাসপাতালের ডাক্তার ভামসি কৃষ্ণা জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হবে, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরেই সুস্থতার হার নির্ভর করবে। ব্যক্তির রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। যখন স্বল্প উপসর্গ দেখা দেয় , ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। করোনার এই নয়া ট্রেন্ড দেশজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। উপসর্গই যদি না দেখা দেয়, তাহলে কিভাবে চিকিত্সা করবে ডাক্তাররা।