কলকাতানিউজরাজ্য

একই দিনে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত ৭, রহস্যজনক ঘটনার সাক্ষী শহর কলকাতা

Advertisement
Advertisement

মানসিক অবসাদের জের! সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর ‘মানসিক অবসাদ’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাস্তব জীবনে অনেকের মনেই প্রভাব পড়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জন আত্মহত্যা করেছে শহর কলকাতায়। এই আত্মহত্যার তালিকায় বছর ১০ এর বালকের থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ ব্যক্তিও রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে পড়ে এধরনের সিদ্ধান্ত নিল ওই বছর ১০ এর বালক কিংবা ৭০ বছরের বৃদ্ধ ব্যক্তি? কিন্তু কেন আত্মহত্যার কথা বারবার ওঠে আসছে খবরের শিরোনামে?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেকের ওই বালক লেক এলাকার এটি চ্যাটার্জি স্ট্রিটে থাকতো। তার মা পরিচারিকার কাজ করেন। তার বাবার তেমন কোনো রোজগার নেই বললেই চলে। ওই বালক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুরে বাড়ির ছাদে কাপড় শুকোতে যায় ওই বালক। তারপর তার পরিবারের কেউ একজন ছাদে গিয়ে দেখতে পানি, একটি মোটা রবারের পাইপের ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে ওই বালক।

এদিকে, রিজেন্ট পার্কের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সরণির এক কলেজ পড়ুয়া গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। জানা গিয়েছে, পড়াশোনা করতেন না বলে তার বাবা মা তাঁকে বকাবকি করতেন, আর সেই কারনেই এমন কান্ড ঘটিয়েছে ওই ছেলেটি‌। ওই কলেজ পড়ুয়ার নাম রোহিত গুপ্তা, বয়স ১৯ বছর। নামে এক কলেজ ছাত্র। অন্যদিকে, লকডাউনের জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নরেশ সাহা নামে পাটুলির এক ব্যক্তি। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ।

এদিকে, ৭০ বছরের নতুন মন্ডল বেহালার ক্যানাল রোডের বাসিন্দা। তিনিও এদিন গলায় গামছা জড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ইন্দ্রনীল কর্মকার নামের এক ৩০ বছর বয়সী যুবক, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি বেলেঘাটার কালীতলা বোস লেনের বাসিন্দা। এদিন গলায় বেডশিটের ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করেন টালিগঞ্জ থানার হাজরা রোডের বাসিন্দা মোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, বয়স ৪০। এছাড়াও মুচিপাড়ার টোটন দাস, বয়স ১৯ এর যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

Sangbad Safar Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles